মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ ব্যারাকে সহকর্মীর পিস্তল নিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে শিক্ষানবিশ পুলিশ কর্মকর্তা সুজন সরকার (পি এস আই)। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। তার বাড়ি মাগুরা জেলার শালিকা উপজেলার শতখালি গ্রামে। তার পিতার নাম তারাপদ সরকার। তবে তার আত্মহত্যা কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বর্তমানে তার মরদেহ মেহেরপুর সদর থানা চত্বরে রাখা হয়েছে। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আছেন। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তদন্ত ছাড়া আত্মহত্যার কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবেনা। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি জানান, আজ সনন্ধ্যা ৭ টার দিকে ডিউটি ছেড়ে সদর থানা ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত ব্যারাকের নিজরুমে বিশ্রাম করছিল মেহেরপুর সদর থানার পি.এস.আই সুজন সরকার। বিশ্রামের ফাঁকে কোন এক সময় রুমে রক্ষিত থাকা রুমমেট এ এস আই বিশ্বনাথের ৭.৬২ বোর পিস্তলটি স্টিলের ট্যাংকি ভেঙ্গে বের করে নিজ মাথায় গুলি চালায় এই পুলিশ কর্মকর্তা। গুলির শব্দ শুনে নিচতলায় ডিউটিরত ডিউটি অফিসার এ এস আই সায়েম এবং এ এস আই বিশ্বনাথ দোতলায় ছুটে যান। তারা অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে অবশেষে দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে সুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি আজিজুল হক জানান, নিহত সুজন সরকার মানষিক রোগে ভুগতেন। পরিবারের লোকজনকে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বললে মৃত্যুর কারণ সর্ম্পকে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তবে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, পিএসআই সুজন পারিবারিক সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করতেন। তার মধ্যে সব সময় হতাশা কাজ করতো।