বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের নামে প্রায় অর্ধকোটি বাণিজ্যের মিশনে গাংনী শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার

বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের নামে প্রায় অর্ধকোটি বাণিজ্যের মিশনে গাংনী শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার

educationআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের নামে অর্ধকোটি টাকার অর্থ বানিজ্য’র মিশনে নেমেছে গাংনী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার ।
আর এ কাজে তাকে সার্বিক সহায়তা করছেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির প্রভাবশালী নেতা। জানা গেছে,বর্তমান সরকার দেশের বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয় করনের ঘোষনা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী এ উপজেলার ৭৬ টি রেজি. বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম যাচাই বাছাই কমিটির সদস্যরা অনুমোদন দেওয়ার পরেও শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার অতিরিক্ত ৬ টি বিদ্যালয়কে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ার পায়তারা করছে।প্রায় অর্ধকোটি টাকার অর্থ বাণিজ্যের মিশন নিয়ে অস্তিত্ব বিহীন আরও ৩ টি স্কুলের নাম প্রস্তাবনা করে যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছেন শিক্ষা অফিসার।অস্তিত্ব বিহীন ৩ টি স্কুলের তালিকায় রয়েছে পাকুড়িয়া পশ্চিমপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোদাইলকাটি পূর্বপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরগোয়ালগ্রাম পুর্বপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব কাগুজে বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোর কোন চিহ্ন নেই নেই কোন ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক নিয়োগ নেই,রেজুলেশন,নেই তবুও শিক্ষা অফিসার এগুলোকে স্বীকৃতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কাগজে কলমে বিদ্যালয় দেখালেও প্রকৃত পক্ষে বিদ্যালয়ের স্থান গোচারন ভূমিতে পরিনত হয়েছে।শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় ওই সব কাগুজে বিদ্যালয়গুলো জন্য পূর্বের তারিখ দেখিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে ওই সব অস্তিত্ববিহীন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।এদিকে স্বরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ওই সব বিদ্যালয়ের জন্য দেখানো জমিতে এখন অন্য লোকের দালানকোঠাসহ ঘরবাড়ি রয়েছে। তারপরেও কাগজে কলমে শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার ও কয়েকজন শিক্ষক নেতার যোগ সাজসে একটি মহল আস্তত্ববিহীন স্কুলগুলো জাতীয়করনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার ৩ টি অস্তিত্ববিহীন স্কুলের কথা জানেন না বললেও গোপনে ওইসব স্কুলগুলো জাতীয়করন করে দেওয়ার আশ্বাসে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গোপনে ফাইল নিয়ে গত কাল রবিবার উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট ফাইলপত্র জমা দেন। কিন্ত যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসরা মুহাম্মদ আব্দুস সালাম রেজুলেশনসহ কাগজপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এব্যাপারে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি। ওই সব অস্তিত্ববিহীন স্কুলগুলো জাতীয়করণ করার প্রশ্নই ওঠেনা। এটা পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল গত ৫ মার্চ।
অন্যান্য