সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তিনটি আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে দফায় দফায় বিতর্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তিনটি আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি  জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে  দফায় দফায় বিতর্কে জড়িয়েছেন হট্টগোলের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের দুই-তিন আইনজীবী আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দিকে তেড়ে যান। শুনানিতে অংশ নিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের  বলেন, ফাঁসি তো লিখেই রেখেছেন। বেলজিয়াম থেকে রায় এসে গেছে।

মামলার কার্যক্রম শেষে তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, জরুরি অবস্থার সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশীয় সাক্ষীই পাওয়া গিয়েছিল। শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূর আলী, আজম জে চৌধুরীরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সেইসব মামলার কি হলো? শুনানি শেষে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ শুনানির এ দিন ধার্য  করে।
নিজামুল হক অন্য বিচারপতিদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন: ফর্মাল চার্জ আইনের চোখে কোন ফর্মাল চার্জই নয়। কেউই স্কাইপ সংলাপ ও ই-মেইল অস্বীকার করেননি। এমনকি অ্যাটর্নি জেনারেলও অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারবো না। কিন্তু আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারবো না- তা তো কোন আইনে বলা নেই। ২০০৬ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কোথাও বলা নেই যে, এসব ব্যবহার করা যাবে না। যারা হ্যাকিংয়ে জড়িত তাদের বিচার হবে। আইন আইনের গতিতে চলবে। তিনি বলেন, আমরা যে সব বক্তব্য দিয়েছি সেসব বক্তব্যের সমর্থনে আমরা সারা দুনিয়ার আদালতের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত এ আদালতে দাখিল করেছি।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য বিচারপতিরা বিচারপতি মো. নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপের ব্যাপারে অবগত ছিলেন কিনা জানতে চেয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয় প্রথমে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন,  ট্রাইব্যুনাল স্বাধীনভাবে কাজ করেনি। বিচারপতি মো. নিজামুল হক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

অন্যান্য