মেহেরপুর অফিস গত ১১/৭/১৪ ইং তারিখে মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে বাউবি‘র বি,এ/বি,এস এস পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকর্তৃক সৃষ্ঠ অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল এর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজ কতৃপক্ষ। আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারে উত্তরা ব্যাংকের নিচে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউবি পরীক্ষা কেন্দ্র স¤œয়কারী মহাঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন শনিবার পত্রিকায় কলেজ কর্তপক্ষ অবাধে নকলের যে প্রস্তাব দেন বলে পত্রিকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব অরুন কুমার মন্ডল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। তিনি উদ্দ্যেশ্য প্রনীত হয়ে এ বক্তব্য প্রদান করেছেন। বরং সত্য হলো তিনি কেন্দ্রের সভাপতি দাবি করার পাশাপাশি মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে ধাওয়া বা নাজেহাল করেন এই মর্মে প্রকাশিত বক্তব্য আদৌও সত্য নয়। তিনি আরেও বলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারী থাকা সত্বেও বেআইনী ভাবে বহিরাগত ব্যাত্তিকে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে নিজেই আইন ভঙ্গ করেছেন। তাছাড়া কলেজ কতৃপক্ষ ইতিপূর্বে এইচ এস সি পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আপনি কেন্দ্রর সভাপতি নন। সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা । তিনি সচিব হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনভাবেই সভাপতি হতে পারেন না । সরকারের শিক্ষা মণন্ত্রালয়ে এধরণের কোন পরিপত্র নাই। কেন্দ্র সচিব আনোয়ার হোসেন ঐ দিনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে আরোও বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন এবং বেআইনীভাবে সঙ্গে নিয়ে আসেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গাফ্ফার এবং প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নূর আলমকে কেন্দ্র সমন্বয়কারী মুহাঃ আনোয়ান হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে আসা দুই কর্মকর্তা কক্ষে পরিদর্শনে আসতে পারেন কিনা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত্ ানিজেকে কেন্দ্রের সভাপতি দাবী করে তিনি যাকে ইচ্ছে আনতে পারেন বলে জানান। পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আসা দুইজন কাউকে কাউকে নকলে সহযোগিতা করলে বাকী পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে কলেজ কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঐদুই কর্মকর্তা সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেন্দ্রে অবস্থান করেন এবং কাউকে বহিষ্কার করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আগামী পরীক্ষায় দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। কেন্দ্র সচিব লিখিত বক্তব্য আরও বলেন ঘটনার দিন সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে পরীক্ষা শুরুর সাথে সাথে দই কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করেন এবং পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেন এবং কয়েকজন মহিলা পরীক্ষার্থীকে তল্লাশীর নামে কলেজ কতৃপক্ষ হয়রানী না করার অনুরোধ করলে তিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং গালিগালাজ করেন। এতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে চলে এসে কলেজের কয়েকটি জানালা দরজা ভাংচুর করেন। এসময় কলেজ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে পরীর্ক্থীরা পূণরায় হলে ফিরে যায়।সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার আতা-ইলাহি মোঃঃ আবদুল্লাহ ,শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব প্রভাষক ইসমাঈল হোসেন,প্রভাষক খালেকুজ্জামান, প্রভাষক মফিজুল ইসলাম,প্রভাষক আব্দুর রশিদ, প্রভাষক আলিমুদ্দিন শেখ,প্রভাষক জামালউদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।