গত শুক্র বার দিবাগত রাত্রে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও হরিনাকুন্ডু উপজেলায় পুরিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছে । নিহতরা হলেন আবদুর রশিদ (৩০) ও হযরত আলী (৪০) । এরা সকলেই নিসিদ্ধ ঘোষিত জনযুদ্ধের সদস্য বলে পুলিশ জানায় । নিহত আবদুর রশিদ (৩০) এর বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা-শ্রীরামপুর গ্রামে । এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’টি এলজি, ছয়টি শক্তিশালী হাতবোমা ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের ভাষ্য, চরমপন্থীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে আজ ভোর চারটার দিকে হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এতে পৃথক স্থানে দুই চরমপন্থী ক্যাডার নিহত হয়েছেন। পুলিশ সকালে তাঁদের লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হরিনাকুন্ড উপজেলার রিশখালী আমতলা নামক স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাত। সেখানে পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় হযরত আলী নামে এক ডাকাত নিহত হন। তাঁর-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া গ্রামের মাঠে সন্ত্রাসীদের বৈঠকের খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুর রশিদকে পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে গত বৃহস্পতিবার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের হজরত আলী ও ছয়খাদা-শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুর রশিদ নামের দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহতরা চাঁদাবাজী, মুক্তিপণ, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে।