পুলিশী গ্রেফতার ও সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে গাংনীর রাজাপুর বাসি আতংকিত!

পুলিশী গ্রেফতার ও সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে গাংনীর রাজাপুর বাসি আতংকিত!

gagni mapআমরা এখন রাতে ঘুমাতে পারিনি বাবা। সন্ধ্যা হলিপরে গ্রামের পুরুষ ব্যডারা ঘরে থাকতি পারেনা। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। অজানা আতংকের মধ্যি রাত কাটাতি হয়। উপস্থিত হাজারো জনতার মাঝে রাজাপুর গ্রামের অশিতপর বৃদ্ধা জিন্নাতন্নেছা কথা গুলো বলছিলেন। শুধু জিন্নাতুন্নেছা নয় গ্রামের লাইলী খাতুন (৬৭), শাহানারা (৪৭), সবুর (৩৫), রমজান(৪২) ও মর্জিনা (৩৩) জানালেন কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোসতাজাব, কনষ্টেবল আরিফ ও দৌলতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের নির্যাতন কাহিনী।
নির্যাতিতা গ্রামের অসহায় মানুষগুলোর কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন গাংনী থেকে রাজাপুর গ্রাম পরিদর্শনে যাওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলমসহ স্থানীয় রাজনীতিক ও সাংবাদিকরা।
গ্রামের কাবাতুল ইসলাম,আব্দুল বারী,আব্দুল মান্নান,জানালেন,খলিশাকুন্ডি গ্রামের উপর দিয়ে রাজাপুর গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি করে থাকেন। আর এ সুযোগে খলিশাকুন্ডি গ্রামের লোকজন সবসময় কারনে অকারনে রাজাপুর গ্রামের লোকজনের উপর সব সময় অত্যাচার করে থাকেন। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদীতে মাছ চাষ করেন খলিশাকুন্ডি গ্রামের শহিদুল ইসলাম। রাজাপুর গ্রামের লোকজন নদীতে গোসল করতে নামলেই তাদের মারপিটসহ নানা ভাবে অত্যাচার করে থাকে। এছাড়া কৃষকদের মাঠের ফসল তছরুপসহ কেটে নিয়ে যায়। আর এ কাজে সরাসরি সহযোগীতা করার অভিযোগ কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এএসআই মোসতাজাব ও কনষ্টেবল আরিফের বিরুদ্ধে। এদিকে রাজাপুর গ্রামের সাধারণ নীরিহ মানুষের মাঝে এখনও আতংক কাটেনি। রাত হলেই তাদের মাঝে নেমে আসে নানা ধরনের ভয়ভীতি।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোসতাজাব,কনস্টাবল আরিফের সহায়তায় খলিশাকুন্ডি গ্রামের শহিদুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাজাপুর গ্রামবাসির উপর হামলা করে প্রায় ১০ জনকে আহত করে। এসময় ২ পুলিশ কনস্টাবলও আহত হন। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইসি মোসতাজাব বাদী হয়ে রাজাপুর গ্রামের ৩৬ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৩/৪ শ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মেহেরপুর সংবাদ