মেহেরপুরে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সরকারী কোষাগার হতে  বেতন ও ভাতা উত্তোলন করায়– গোঁমর ফাঁস ॥ তোলপাড়

মেহেরপুরে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সরকারী কোষাগার হতে বেতন ও ভাতা উত্তোলন করায়– গোঁমর ফাঁস ॥ তোলপাড়

gagni mapআমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ মেহেরপুরে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের দুজন শিক্ষক বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সরকারি অর্থ উত্তোলন করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং আর একজন শিক্ষককে নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ০১/১২/২০১০ তারিখের এক আদেশে বলা হয়েছে, একই শিক্ষক অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও বেতন ভাতা গ্রহন করতে পারবে না। কিন্তু এদিকে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে প্রশিক্ষক (তালযন্ত্র) হিসাবে কর্মরত আছে। এছাড়াও মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক শাফিনাজ আরা ইরানী অনুরূপ ভাবে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে প্রশিক্ষক (উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত) বিভাগে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত অবস্থায় উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন ও ভাতাদি গ্রহন করে আসছে। এমতাবস্থায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্য, অভিনয়, আবৃত্তি প্রশিক্ষক ও তালযন্ত্র সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত ২৫ মে সদর উপজেলার দক্ষিণ শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক শ্রী শাশ্বত্য নিপ্পনকেও জেলা শিল্পকলার প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবার জন্য মনোনিত করা হয়েছে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক, মহাপরিচালক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সহ সকল সাংবাদিক বরাবর অভিযোগপত্র প্রেরণ করেছে একজন অভিযোগকারী। এ ব্যাপরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, শিল্পকলা একাডেমী একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান, তাই শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনে কোন শিক্ষক দুই প্রতিষ্ঠানে দুই পদে কর্মরত ও বেতন ভাতা গ্রহন করতে পারেনা। এই অনৈতিক কাজের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
মেহেরপুর সংবাদ