তিন চিকিৎসক হত্যা-পরিকল্পনা ব্যর্থ করার দাবি র‌্যাবের

বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) দুটি পক্ষের বিরোধে তিন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও তা নস্যাৎ করার দাবি করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের সদর দপ্তরে গতকাল সোমবারবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) দুটি পক্ষের বিরোধে তিন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও তা নস্যাৎ করার দাবি করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের সদর দপ্তরে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান (২৯), সন্ত্রাসী (র‌্যাবের দাবি অনুযায়ী) মিঠু ওরফে প্রশান্ত (২২), মোহর আলী (৩৫), জয়নাল আবেদীন (২৪), মোস্তফা (২৬) ও তওফিকুল ইসলাম তুষার (২৩)। তবে আটক ব্যক্তিরা বলেছেন, তাঁদের কাউকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না, শুধু মারধর ও লাঞ্ছিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। এর আগে দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান ছাড়া বাকি পাঁচজন গত ১৩ আগস্ট সাভারের হেমায়েতপুরের সুগন্ধা হাউজিং প্রোপার্টি এলাকার সোহাগের চা-দোকানের সামনে থেকে নিখোঁজ হন বলে তাঁদের পরিবার দাবি করেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, র‌্যাব পরিচয়ে কিছু লোকজন সবার সামনে হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ১৭ আগস্ট সাভার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন তওফিকুলের বাবা তাজুল ইসলাম। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদের অনুসারী তিন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ড্যাবের নেতা মাজহারুল ইসলাম ওরফে দোলন। যে তিনজন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল তাঁরা হলেন: মোফাখখারুল ইসলাম, মো. বাহার ও উজ্জ্বল। এ জন্য মাজহারুল তাঁর অনুসারী দন্ত চিকিৎসক কামরুলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এরপর কামরুল যোগাযোগ করেন সন্ত্রাসী মিঠুর সঙ্গে। গত ১১ ও ১২ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরের ডিজি ল্যাবে মোফাখখারুলের চেম্বারে পাঁচ সন্ত্রাসী পাঠান মিঠু। ১১ আগস্ট সন্ত্রাসীরা গিয়ে মোফাখখারুলকে না পেয়ে ঘুরে আসে। ১২ আগস্ট র‌্যাব গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। চেম্বারে সন্ত্রাসী হামলা ও র‌্যাবের আগমনের পর মোফাখখারুল ধারণা করেছিলেন, তাঁর জীবননাশের জন্য যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এরপর তিনি ১৪ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন। এখানে ব্যর্থ হয়ে ১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী মামুনকে দিয়ে শেওড়াপাড়ায় চিকিৎসক উজ্জ্বলের চেম্বারে হামলা চালানোর চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। গত রোববার মিরপুর ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে একটি বিদেশি রিভলবারসহ কামরুল, মিঠু ও তাঁদের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, গত ৩০ জুলাই ড্যাবের ইফতার অনুষ্ঠানে হাতাহাতি হলে দন্ত চিকিৎসক কামরুলকে মারধর করেন প্রতিপক্ষ ড্যাবের বর্তমান মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন-সমর্থিত চিকিৎসকেরা। এরপর ড্যাবের আরেক প্রভাবশালী নেতা মাজহারুল (তারেক রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত) কামরুলকে দায়িত্ব দেন তিন চিকিৎসককে হত্যার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে। র‌্যাবের হেফাজতে থাকা কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, ড্যাবের নেতা মাজহারুল তাঁকে বলেন ‘অন্তত কিছু করো, এটা প্রেস্টিজ প্রবলেম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এরপর তিনি আরেক দন্ত চিকিৎসক শামীমের মাধ্যমে মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথা ছিল, ওই তিন চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হবে। তাঁদের হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আরেক চিকিৎসক-নেতা ইরফান তাঁকে এ কাজটি করার জন্য ফোন করে চাপ দিতেন। র‌্যাবের হেফাজতে থাকা মিঠু বলেন, কামরুল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মোফাখখারকে মারধর করতে বলেছিলেন। তবে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে র‌্যাবের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, কামরুল ও মিঠুর মধ্যে দীর্ঘ সময়ের আলাপচারিতার রেকর্ড তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। তাতে কামরুলকে হত্যার নির্দেশনা দিতে শোনা গেছে। কথোপকথনে মিঠু জিজ্ঞাসা করেন, ‘ওরে রাখপো না ফালায়ে দিবো।’ উত্তরে কামরুল বলেন, ‘মারতে গিয়ে মারা গেলে আর কী করার।’ মিঠু জিজ্ঞেস করেন, ‘মরিচের গুঁড়া (ককটেল বা হাতবোমা) নেব, না বই (আগ্নেয়াস্ত্র) নেব।’ জবাবে কামরুল বলেন, ‘যা লাগবে সব নিবি।’ কথিত হামলার লক্ষ্য চিকিৎসক মোফাখখারুলের দাবি, ড্যাবের মতো বড় একটি সংগঠনে বিভেদ থাকতেই পারে। তবে কোনো ‘গ্রুপিং’ নেই। ড্যাব সভাপতি-মহাসচিবকেন্দ্রিক সংগঠন। এখানে মাজহারুল ইসলামদের কোনো অস্তিত্ব নেই, সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁরা পেশিশক্তি দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে চান। র‌্যাবকে ধন্যবাদ জানান মোফাখখারুল। পাঠকের মন্তব্য পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান (২৯), সন্ত্রাসী (র‌্যাবের দাবি অনুযায়ী) মিঠু ওরফে প্রশান্ত (২২), মোহর আলী (৩৫), জয়নাল আবেদীন (২৪), মোস্তফা (২৬) ও তওফিকুল ইসলাম তুষার (২৩)। তবে আটক ব্যক্তিরা বলেছেন, তাঁদের কাউকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না, শুধু মারধর ও লাঞ্ছিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। এর আগে দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান ছাড়া বাকি পাঁচজন গত ১৩ আগস্ট সাভারের হেমায়েতপুরের সুগন্ধা হাউজিং প্রোপার্টি এলাকার সোহাগের চা-দোকানের সামনে থেকে নিখোঁজ হন বলে তাঁদের পরিবার দাবি করেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, র‌্যাব পরিচয়ে কিছু লোকজন সবার সামনে হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ১৭ আগস্ট সাভার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন তওফিকুলের বাবা তাজুল ইসলাম। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদের অনুসারী তিন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ড্যাবের নেতা মাজহারুল ইসলাম ওরফে দোলন। যে তিনজন চিকিৎসককে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল তাঁরা হলেন: মোফাখখারুল ইসলাম, মো. বাহার ও উজ্জ্বল। এ জন্য মাজহারুল তাঁর অনুসারী দন্ত চিকিৎসক কামরুলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এরপর কামরুল যোগাযোগ করেন সন্ত্রাসী মিঠুর সঙ্গে। গত ১১ ও ১২ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরের ডিজি ল্যাবে মোফাখখারুলের চেম্বারে পাঁচ সন্ত্রাসী পাঠান মিঠু। ১১ আগস্ট সন্ত্রাসীরা গিয়ে মোফাখখারুলকে না পেয়ে ঘুরে আসে। ১২ আগস্ট র‌্যাব গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। চেম্বারে সন্ত্রাসী হামলা ও র‌্যাবের আগমনের পর মোফাখখারুল ধারণা করেছিলেন, তাঁর জীবননাশের জন্য যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এরপর তিনি ১৪ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন। এখানে ব্যর্থ হয়ে ১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী মামুনকে দিয়ে শেওড়াপাড়ায় চিকিৎসক উজ্জ্বলের চেম্বারে হামলা চালানোর চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। গত রোববার মিরপুর ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে একটি বিদেশি রিভলবারসহ কামরুল, মিঠু ও তাঁদের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, গত ৩০ জুলাই ড্যাবের ইফতার অনুষ্ঠানে হাতাহাতি হলে দন্ত চিকিৎসক কামরুলকে মারধর করেন প্রতিপক্ষ ড্যাবের বর্তমান মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন-সমর্থিত চিকিৎসকেরা। এরপর ড্যাবের আরেক প্রভাবশালী নেতা মাজহারুল (তারেক রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত) কামরুলকে দায়িত্ব দেন তিন চিকিৎসককে হত্যার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে। র‌্যাবের হেফাজতে থাকা কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, ড্যাবের নেতা মাজহারুল তাঁকে বলেন ‘অন্তত কিছু করো, এটা প্রেস্টিজ প্রবলেম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এরপর তিনি আরেক দন্ত চিকিৎসক শামীমের মাধ্যমে মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কথা ছিল, ওই তিন চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হবে। তাঁদের হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আরেক চিকিৎসক-নেতা ইরফান তাঁকে এ কাজটি করার জন্য ফোন করে চাপ দিতেন। র‌্যাবের হেফাজতে থাকা মিঠু বলেন, কামরুল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মোফাখখারকে মারধর করতে বলেছিলেন। তবে হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে র‌্যাবের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, কামরুল ও মিঠুর মধ্যে দীর্ঘ সময়ের আলাপচারিতার রেকর্ড তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। তাতে কামরুলকে হত্যার নির্দেশনা দিতে শোনা গেছে। কথোপকথনে মিঠু জিজ্ঞাসা করেন, ‘ওরে রাখপো না ফালায়ে দিবো।’ উত্তরে কামরুল বলেন, ‘মারতে গিয়ে মারা গেলে আর কী করার।’ মিঠু জিজ্ঞেস করেন, ‘মরিচের গুঁড়া (ককটেল বা হাতবোমা) নেব, না বই (আগ্নেয়াস্ত্র) নেব।’ জবাবে কামরুল বলেন, ‘যা লাগবে সব নিবি।’ কথিত হামলার লক্ষ্য চিকিৎসক মোফাখখারুলের দাবি, ড্যাবের মতো বড় একটি সংগঠনে বিভেদ থাকতেই পারে। তবে কোনো ‘গ্রুপিং’ নেই। ড্যাব সভাপতি-মহাসচিবকেন্দ্রিক সংগঠন। এখানে মাজহারুল ইসলামদের কোনো অস্তিত্ব নেই, সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁরা পেশিশক্তি দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে চান। র‌্যাবকে ধন্যবাদ জানান মোফাখখারুল।

অন্যান্য বাংলাদেশ