মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রাম শুভরাজপুর থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্র আতাউর রহমান ১৫ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। আজ বুধবার সকাল দশটার দিকে সদর উপজেলার বাজিতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, অপহরণের পর শিশুটিকে ভারতে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের বিরোধী একটি পক্ষকে সোর্স হিসেবে কাজে লাগিয়ে তাদের টাকার অফার করা হয়। বুধবার সকালে বাজিতপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে সন্ত্রাসীরা শিশুটিকে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে আসে। আগে থেকে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছিল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা শিশুটিকে ফেলে ভারতে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দূল জলিল ও সদর থানার ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার অপহৃত শিশু আতাউর রহমানকে তার চাচা ইলিয়াস হোসেনের নিকট হস্তান্তর করে এসময় সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ঘটনার কেউ গ্রেফতার না হলেও অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য গত ৩রা সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শুভরাজপুর গ্রামের দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী অলিফ হোসেনের বাড়ির সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র আতাউর রহমানকে অপহরণ করে। এসময় বাধা দিলে আতাউরের ছোট নান স্কুল শিক্ষক আব্দুল হালিম প্রতিবাদ করলে অপহরনকারীরা তাকে গুলি করে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।