আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ ঃ মেহেরপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। পছন্দসই পোশাক কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন শহরের দোকানগুলোতে। ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসছে ভারতীয় কাপড়। বিজিবি- বিএসএফ এর কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভারতীয় কাপড়ের চোরাচালান। হুমকির মুখে দেশীয় পন্য।মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় কাপড়। এবারের ঈদের বাজার চাইনা আর ভারতীয় কাপড়ে ছয়লাভ হয়েছে। ভারত থেকে চোরাপথে আসা কাপড়ের চালান মাঝে মধ্যে ধরা পড়লেও বেশিরভাগই নিরাপদে বাজারজাত হচ্ছে। জেওয়ানি-দিওয়ানি, চেন্নাই এক্সপ্রেস, সানি লিওন, মধুবালা, সান শান, ঝিলিক সহ ভারতীয় ছিনেমার নায়ক-নায়িকা ও অভিনেত্রীদের নামে আরো অনেক রকমের ভারতীয় পন্যে ছেয়ে গেছে মার্কেটগুলো। ভারতীয় কাপড় বাজার দখল করায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় কাপড়ের ঐতিহ্য। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরাও এসব ভারতীয় কাপড় বাজারজাত করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। ঈদের বাজারে বেশিরভাগ রয়েছে ভারতীয় আর চায়না কাপড়ের দখলে। তবে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য পোশাক কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন বিপনী বিতানগুলোতে। মেহেরপুর বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী রাজ্জাক জানান ইমপোর্টের কাপড়, ভ্যাট-ট্যাক্স বেশি, কস্টিং, সুতা, তৈরি খরচ ও গ্যাসের দাম বেশি হওয়ায় কাপড়ের দাম বেড়েছে। মেহেরপুর বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী জানান, চাইনা এবং ভারতীয় পন্যে ছেয়ে গেছে বাজার। কম দামের পোশাকের মধ্য দেশীয় পোশাকের কদর রয়েছে। বাংলাদেশী শাড়ির চাহিদা বেশি হলেও বিশেষ করে বেশি দামের থ্রি-পিচের চাহিদা ভারতীয়ই বেশি। তবে ক্রেতারা বলেন কালেকশন কম থাকায় পছন্দসই কাপড় কিনতে পারছেন না অনেকে। আবার যে পোশাকগুলো পাওয়া যাচ্ছে সে গুলোর দাম আকাশচুম্বি।