মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া গ্রামে পারভীনা (৩৩) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত গৃহবধুর দেবর ভূগোল মন্ডলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। রবিবার সকাল ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধু পারভীনা গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও পলাশী গ্রামের মঙ্গল মন্ডলের ছেলে শাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের চাচা মোছাব আলী জানান, ১৫ বছর আগে পারভীনার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে বিদেশ যাবার কথা বলে স্বামী শাখাওয়াত হোসেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। বেশ কিছুদিন মালেশিয়া থাকার পর বাড়ি ফিরে এসে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। বিভিন্ন সময়ে পারভীনা তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিত। তাতেও মন পায়নি পারভীনা। নিঃসন্তান বলে তাকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করা হতো। সম্প্রতি আবারো বিদেশ যাবার জন্য শাখাওয়াত হোসেন স্ত্রী পারভীনার কাছে ২ লাখ টাকা দাবী করে। এ দাবী পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায় রোববার সকালের দিকে ঘুমন্ত পারভীনাকে বেধড়ক মারপিট করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সকাল ৮ টার দিকে একটি নসিমনে করে পারভীনার লাশ তার বাবার বাড়ি করমদীতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গাংনী থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে পারভীনার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সামসুল আলম জানান, প্রাথমিক তদন্তে লাশের গায়ে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই পারভীনার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেলেও দেবর ভূগোল মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পারভীনার বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করে।