পদ্মা সেতুর পরামর্শক যাচাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার এজাহার বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এজাহারের একটি অনুলিপি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসেও পাঠিয়েছে দুদকের তদন্ত টিম।
গতকাল দুদক কমিশনার মো. শাহাবউদ্দিন চুপপু দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এজাহার ও কিছু কাগজপত্র বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আজ (গতকাল বুধবার) পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানায়, মামলার এজাহার দেখেই বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ দল প্রতিবেদন দেবে এবং এ প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করছে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন।
এদিকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের এ কমিশনার। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তারা যেন দেশত্যাগ না করতে পারে সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারের বর্ণনায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে ‘সন্দেহভাজন’ উল্লেখ করা হয়।
মামলায় মোট সাতজন আসামি। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের চারজন- সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা। কানাডিয়ান তিন বিদেশী আসামি- এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের) মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস।