আমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ
স্বজনহারাদের বুকফাটা আর্তনাদ। নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে ফেরা উদ্বিগ্ন মানুষ। আগুনে পোড়ে অঙ্গার হওয়া লাশের সারিতে স্বজনদের খোঁজছে এসব চোখ। কিন্তু কারও যে চেহারা চেনার উপায় নেই। হাত, পা, গায়ের জামার পোড়া অংশ দেখে মাত্র ৪৩জন শ্রমিককের লাশ সনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ৫৮টি লাশে সনাক্ত করার মতো কোন চিহ্নই নেই। তাই এই লাশগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে। শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রোববার সকাল সাতটা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে লাশ হয়েছেন আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টের ১১০ জন শ্রমিক। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা। গোটা দেশ। সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার দৃশ্য উন্মুক্ত হতে থাকে। উদ্ধারকারী দল ভবনের ভেতর থেকে এক এক করে সনাক্ত করেন ১১০ টি লাশ। লাশগুলো রেডক্রিসেন্টের কফিন ব্যাগে করে নিয়ে রাখা হয় দেওয়ান ইদ্রিস নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়। সেখান থেকে স্বজনরা খুঁজে নেন ৪৩ জনের লাশ। এরপরও ৫৮ টি লাশ পড়ে থাকে সেখানে। যেগুলো সনাক্ত করার কোন উপায় নেই। বেলা আড়াইটায় লাশগুলো নিয়ে যাওয়া হয় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের ঢাকাস্থ কার্যালয়ে। এরপর থেকে আপনজনকে খুঁজতে আসা কেউ কেউ যাচ্ছেন সেখানে। এর আগে শনিবার রাতেই ৯ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদের বেশিরভাগ আগুন লাগার সময় ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান।