২৫শে অক্টোবর  মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল না আনলে ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দেব না’– খালেদা জিয়া

২৫শে অক্টোবর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল না আনলে ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দেব না’– খালেদা জিয়া

73292_khaledaআজ বিকালে খুলনা শহরের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত বিশাল জনসমুদ্রে    বিরোধী নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া   বলেন, খুলনাবাসীকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা এই সরকারকে একটা হলুদ কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। এই ভয়ে তারা এখন একলা নির্বাচন করতে চায়। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন,  দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করার জন্য বিদ্যুকেন্দ্রের প্রয়োজন আছে। কিন্তু রামপালের মতো জায়গায় করা যাবে না। অন্য কোন নিরাপদ   করেন। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে পশুপাখি ও পরিবেশের ক্ষতি হবে। পানি নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে না এবং করতেও দেয়া হবে না। রামপাল  বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বন্দর রক্ষা কমিটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বন্দর রক্ষা কমিটি এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে।  আমরা তাদের সঙ্গে আছি। তাদের যা যা সমর্থন লাগে আমরা দেব।

বিরোধী নেতা বলেন, ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে আমরা সময় দেব। আমরা দেখবো, এরমধ্যে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনে কিনা। বিল না আনলে ২৫ তারিখের মধ্যে আপনাদের ক্ষমতা  শেষ। এরপর তারা যদি ভদ্রলোক হয় তাহলে বিদায় নেবে। আর না হয় এরপর আমরা সরকার পতনের কর্মসূচি দেবো।

গ্রামীণ ব্যাংকের দলীয়করণ করার অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে দলীয়করণ করার চেষ্টা করছে। তাদের হাতে গেলে এই ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে।ড. ইউনূস   নোবেল পেয়েছেন কিন্তু সরকার তাকে অসম্মান করছে। একজন সম্মানী ব্যক্তিকে সম্মান না দিলে আপনারাও সম্মান পাবেন না।

খালেদা জিয়া বলেছেন, সবচেয়ে বড় ব্যাংক ছিল সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংককে বর্তমান সরকার এমনভাবে দেউলিয়া করেছে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৩০৯ বছর লাগবে। এটা পুকুরচুরি নয় রীতি মতো ডাকাতি। বাংলাদেশ ডাকাতের হতে পড়েছে। তাদের হাতে গেলে সোনালী  ব্যাংকের মতো এই  গ্রামীণ ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে।

এই সরকারের   সময়  ১৮   জন সাংবাদিককে হত্যা  করায়েছেছে।সাংবাদিক  সাগর-রুনি হত্যার কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, আসল খুনিকে ধরা হয়নি। কারণ আসল খুনিকে ধরলে সত্য বেরিয়ে আসবে। সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না হয় সেজন্য সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, পাপ কোনোদিন চাপা থাকে না। সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময়মতো জনগণের সামনে আনা হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রচার করতে হবে। কীভাবে আওয়ামী লীগ দেশকে  ফোকলা করে দিয়েছে।

গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিরতা সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করার জন্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। এর পেছনে নৌমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন। তিনি কেন গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে কথা বলতে গেলেন। এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে। কারণ সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে ধ্বংস করে দেশের বেকারত্ব বাড়াতে চায়।

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বলেন, ২০০৭ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।  সেদিন নির্বাচন হয়নি কেন। আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানের অধীনে নির্বচানে আসেনি। তাহলে শেখ হাসিনার অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না এবং হতেও দেয়া হবে না। একদলীয় নেই নির্বাচন প্রতিহত করবো।

সকাল থেকেই খুলনা শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে খুলনা ও বরিশালের জেলাসহ শহরে আশপাশের এলাকা থেকে বাস, ট্রাক, নসিমন, করিমন, ভুটভুটি দিয়ে লোকজন সমাবেশে আসতে থাকেন। দুপুর গড়াতেই জনসমাবেশ এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনস্রোত সার্কিট হাউজ মাঠ পেরিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে সমাবেশে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠ শিল্পী মনির খান, বেবি নাজনীন, রিজিয়া পারভীন গান গেয়ে উপস্থিত জনতাকে মাতিয়ে রাখেন।সকাল থেকেই খুলনা শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে খুলনা ও বরিশালের জেলাসহ শহরে আশপাশের এলাকা থেকে বাস, ট্রাক, নসিমন, করিমন, ভুটভুটি দিয়ে লোকজন সমাবেশে আসতে থাকেন। দুপুর গড়াতেই জনসমাবেশ এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনস্রোত সার্কিট হাউজ মাঠ পেরিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ রাজনীতি