সেবার নামে এ কি প্রতারনা?—-গাংনী রাজা ক্লিনিক এখন মূত্যু কূপ।

সেবার নামে এ কি প্রতারনা?—-গাংনী রাজা ক্লিনিক এখন মূত্যু কূপ।

gagni mapআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ সেবার নামে প্রতারনা করে চলেছেন মেহেরপুরের গাংনী রাজা ক্লিনিক। সেবার পরিবর্তে ক্লিনিক টি পরিণত হয়েছে মূত্যু কূপে। সম্প্রতিক সময়ে ২ মহিলার মূত্যু ও অপারেশন করতে গিয়ে ব্যার্থ হওয়ারর পর কোন রকম সেলাই করে ফেরত পাঠানো হয় আরো এক রুগিকে। সে রুগিটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন করার পর কোন রকম জীবন নিয়ে বেছে রয়েছে। রাজা ক্লিনিক সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসাছে নানা কাহিনী। নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে মাত্র ১০ বেডের অনুমতি নিলেও অজ্ঞাত ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলচ্ছে ৩০ বেডের কার্যক্রম।
ডিপে¬ামা নার্স দিয়ে রুগির সেবা করার কথা থাকলেও আয়া থেকে পদন্নতি পেয়ে নার্স হয়েছে এমন সব অদক্ষ নার্স দিয়ে চলে সেবার নামে প্রতারনা। আর আয়েসা নামের এক আয়া কে দিয়ে করানো হচ্ছে ইসিজি। প্যাথলজি বিভাগে একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও নাম মাত্র একজন টেকনিশিয়ান দ্বারা চলছে প্যাথলজি বিভাগ। একারনে সঠিক রোগ নির্নয় করা সম্ভব হচ্ছেনা। এক্্ররে বিভাগেও একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকার নিয়ম থাকলেও অদক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা চলছে এক্্ররে বিভাগ।এদিকে অপারেশনের ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এনেসথেসিয়া(অজ্ঞান করা) ডাক্তার থাকার কথা থকলেও ঘন্টা চুক্তিতে ভাড়া করা এনেসথেসিয়া ডাক্তার আনা হয়।এছাড়া সার্বক্ষনিক একজন ডাক্তার থাকার নিয়ম কে তোয়াক্কাই না করেই সেবার নামে প্রতারনা করছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শুধু মাত্র এমবিবিএস পাশ করলেও এমন কোন অপারেশন নেই যে ডাক্তার রাজা নিজে করে না। শুধু অপারেশন না সর্ব রোগের চিকিৎসা দেয়া দেন ডাক্তার রাজা। তাছাড়া ডিএসএফএর কার্ডে ফ্রি সিজারিয়ান অপারেশ করার নিয়ম থাকলেও জোর পূর্বক রুগীর স্বজনদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর টাকা না দিলে নানা অজুহাতে রুগীকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। ডাক্তার রাজার নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এত অনিয়ম তবুও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি করেছে ভুক্ত ভুগি মহল।
কে এই রাজা ডাক্তার। পারভিয়াস হোসেন রাজা গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। ডাক্তার রাজার পিতা ইউসুফ আলী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চৌগাছা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হারেজ আলীকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে মেহেরপুর কোর্টে মামলা দায়ের করে মুক্তিযোদ্ধা হারেজ আলীর ছেলে বুলু মন্ডল। মামলা টি উচ্চ আদালতে নিদের্শে স্থগিত রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিরোধ পূর্ন জমিতে রাজা ক্লিনিক। উত্তর পাড়ার মৃত মক্কেল আলীর ৪ শতক জমি অজ্ঞাত ক্ষমতার দাপটে জোর পূর্বক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে রাজা ক্লিনিক।
মৃত মক্কেল আলীর পরিবার সূত্র জানিয়েছে,জোর পূর্বক জমিটি দখল করলেও তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতেই পারছিনা। রাজা ক্লিনিক সম্পর্কে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন বলেন, কোন অনিয়ম করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, রাজা ক্লিনিক সম্পর্কে ইতি মধ্যে নানা অভিযোগ আসছে। খুব শিগ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যপারে ডাক্তার রাজার সাথে কথা বলতে ক্লিনিকে গেলে তাকে পাওয়া যায়নী।
মেহেরপুর সংবাদ