সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সীমান্তে যাতে একজনও মারা না যায়, সে ব্যাপারে ভারত অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হচ্ছে, সীমান্ত হত্যা ঘটছে। তাই আমরা উদ্বিগ্ন।’ আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে আবুধাবি যাচ্ছেন। তিনি সেখানে আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত দূত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের নীতি হচ্ছে, সীমান্তে যাতে একজনও মৃত্যুর সম্মুখীন না হয়। ভারত সরকার সেটাতে রাজি হয়েছে। অর্থাৎ আমরা চাই, সেখানে একজনও মারা যাবে না। কিন্তু হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতকে জানাব। সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে আমাদের কাছে যে অঙ্গীকার তারা করেছিল, সেটা তাদের পূরণ করতে বলব।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন—কাশ্মীরের এমন শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা তথ্য। মিথ্যা খবর। আমরা তাদের অবশ্যই ভিসা দিই। এটা সত্যি না।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক ভূমিকার সমালোচনা করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা মিডিয়া বলেন, সম্পর্ক শীতল। আমরা বলি, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। গতকাল (শনিবার) আপনারা একটি নন–ইস্যুকে ইস্যু বানিয়েছেন। সেখানে আমি যেতে পারব না, সেটা আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তারা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়েছিল। তিনিও কিন্তু যাবেন বলে বলেননি। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন করতে যাচ্ছি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকছেন। সেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর থাকা উচিত।

আবদুল মোমেন বলেন,এখানে (দিল্লিতে ওআরএফ আয়োজিত রাইসিনা সংলাপ) কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নেই। উনি এর মধ্যেই সেটিতে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরও আপনারা,পত্রিকা, লিখছে যে আমরা।দিস ইজ নট রাইট। পত্রিকাগুলো বিভিন্নভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ভারতে একটু বেশি করে। ওটা (রাইসিনা সংলাপ) সরকারের সমর্থিত একটি বেসরকারি আয়োজন, কাজেই ওখানে আকাশ ভেঙে পড়বে না। তবে আপনারা এটাকে বড় করে দেখছেন।

 

বাংলাদেশ