সাভার ট্রাজেডির ঘটনায় মেহেরপুরে একই পরিবারের ২ নারী শ্রমিক আহত ১ নিখোজ।

সাভার ট্রাজেডির ঘটনায় মেহেরপুরে একই পরিবারের ২ নারী শ্রমিক আহত ১ নিখোজ।

gagni mapআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ সাভারের রানা প্লাাজায় গার্মেন্টেসে কর্মরত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের একই পরিবারের ৩ জন হতাহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নমে এসেছে।
গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের সাদিকুর রহমান ওরফে সাদী ডাকাত একটি হত্যা মামলার গ্রেফতার এড়াতে ৬ বছর আগে আশ্রয় নিয়েছিল ঢাকাতে। সেই থেকে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকাতেই বসবাস। জিবন জীবিকার তাগীদেই ২ মেয়ে ও শালিকাকে ইথার টেক্্রটাইলে চাকুরি দিয়েছিল পিতা সাদী।
সাদী জানান, আমার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা শিরিনা খাতুন (২৫), মেরিনা আক্তার (১৮) ও শালিকা শান্তি খাতুন (২৫) ৬ তলায় অবস্থিত ইথার গার্মেন্টেসে শ্রমিক হিসেবে চাকুরী করে আসছিল।
রানা প্লাজা ধসে পড়ার কিছুক্ষণ পরে ভিতর থেকে থেকে শালিকা শান্তি ও বড় মেয়ে শিরিনা খাতুন মোবাইল ফোনে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছিল। অনেক কষ্টে উদ্ধার কর্মিরা বড় মেয়ে শিরিনাকে উদ্ধার করেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। শালিকা শান্তিকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার একটি পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা করছি আমার ছোট মেয়ে মেরিনার জন্য। অনেক লাশ বের হচ্ছে শুধু আসছেনা আমার মেয়ে মেরিনা। জীবিত বা মৃত হলেও এখন আমার মেয়েকে চাই।
সাদীর ভাই আব্দুল মালেক জানান, পার্শ্ববর্তি শ্যামপুর গ্রামের এনামুল হক হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় দীর্ঘদিন পলাতক জীবন যাপন করতে হয়েছে আমাদের। বর্তমানে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও পরিবারের অন্য লোকজনকে ঢাকাতেই রাখছিল ভাই সাদী।
এদিকে বড় মেয়ে শিরিনা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের সাথে। আব্দুল কাদের পারিবারিক কলহেরে জের ধরে আত্মহত্যা করেছিল। সেই থেকে পিতার কাছেই ছিল শিরিনা খাতুন।
মেহেরপুর সংবাদ