মেহেরপুর হারদা পাট পোকা খামার ও বিল পাহারাদার -গাংনীর বোমা হামলার আসামী  নিজামউদ্দিন কে  কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা

মেহেরপুর হারদা পাট পোকা খামার ও বিল পাহারাদার -গাংনীর বোমা হামলার আসামী নিজামউদ্দিন কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা

OLYMPUS DIGITAL CAMERAআমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের সিংহাটি পাটাপোকা খামার ও বিল পাহারাদার কসবা গ্রামের মৃত মোজামের ছেলে নিজামউদ্দিন(৪৭) কে কুপিয়ে হত্যাOLYMPUS DIGITAL CAMERA করেছে দূর্বত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে হত্যাকরে কসবা রড় খালের পাটের জাগের নিচে ফেলে যায়। খবর পেয়ে আজ শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে।এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। খামার মালিক কাওসার আহম্মেদ ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একদল অস্ত্র ধারী সন্ত্রাসী খামারের পাহারা দেওয়ার ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে নিজামউদ্দিনকে জিম্মি
করে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ ও কয়েকজন পাহারাদার মিলে অনেক খুজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসীরা নিজামউদ্দিকে খামার পাহারা না দেবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
খামারের ম্যানেজার আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে। আটক ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান, আমি ও পাহারাদার নিজামউদ্দিন মিলে রাতে পাহারা দিচ্ছিলাম হঠাৎ করে রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে সন্ত্রাসীরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে নিজামউদ্দিকে অপহরন করে নিয়ে যায় ও আমাকে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় । ঘরের ভিতর থেকে চিকিৎকার করতে থাকলে অন্য পাহারাদার সামছুদ্দিন তালা খুলে আমাকে উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী নাছিমা খাতুন জানান, বেশ কয়েক মাস পূর্বে খামারের পাহারাদার জমছেদকে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম প্রহার করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় আমার স্বামী বাধা দেয় সেই থেকে তারা আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে । । হুমকিদাতারাই আমার স্বামীকে হত্যা করে থাকতে পারে।তিনি আরো জানান আমার স্বামী শারিরিক অসুস্থতার জন্য কয়েকদিন যাবৎ বাড়িতেই ছিল কিন্তু খামার ম্যানেজার OLYMPUS DIGITAL CAMERAআলমগীর হোসেন তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে শুক্রবার রাতে খামার ও বিল পাহারা দেওয়ার জন্য ডেকে আনে
নিহত নিজামের ফুফু আছিয়া বেগম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ১১ টারদিকে হারদা বিল পাহারা দিতে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা অন্য পাহারাদারদের জিম্মি করে নিজামউদ্দীন কে জবাই করে হত্যা করে।
তিনি আরো জানান,শনিবার ভোর রাতে আরেক বিল পাহারাদার সিংহাটি গ্রামের ইদ্রীস আলী একই গ্রামের ইউপি সদস্য অলির কাছে হত্যার ঘটনা জানায়। পরে অলি কসবা গ্রামের ইউপি সদস্য শুকুর আলী কে জানানোর পর তার কাছ থেকে নিজামউদ্দীনের মৃত্যুর খবর শুনতেOLYMPUS DIGITAL CAMERA পায়। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে জানাতে পারেনী আছিয়া বেগম । নিহতের মেয়ে সানিয়া জানায়,তার পিতা ৭ হাজার টাকা বেতনে গত ১ বছর যাবৎ হারদা বিল পাহারা ও কৃষি কাজ করে সৎ ভাবে জীবন যাপন করতো।
খামার মালিক কাওসার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল তাদের কথা না শোনায় তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, নিজাম উদ্দীন গাংনী থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত ১৯ নম্বর সন্ত্রাসী সে চরমপন্থী দলের সক্রীয় সদস্য ছিল তার নামে হত্যাসহ তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ৫ বছর ধরে সে জামিনে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে আসছিল। প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা তাকে খুন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেহেরপুর সংবাদ