মেহেরপুর আমঝুপির  ঐতিহাসিক   নীলকুঠি পরিদর্শনে  বিটিভির সাংবাদিক দল।

মেহেরপুর আমঝুপির ঐতিহাসিক নীলকুঠি পরিদর্শনে বিটিভির সাংবাদিক দল।

OLYMPUS DIGITAL CAMERAআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ ইংরেজ শাসন আমলের স্মৃতি বিজরীত এ অঞ্চলের নীল চাষীদের অত্যাচারের কালের সাক্ষী আমঝুপি নীলকুঠি পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক দল সাংবাদিক। হারিয়ে যাওয়া এই নীল কুঠির ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও জোর দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী । আজ দুপুরে বিটিভির ঢাকা থেকে আগত একদল সাংবাদিক মৃত প্রায় নীলকুঠির নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ও এখানে কর্মরত কর্মচারীদের মানেবেতর জীবন তুলে ধরতে প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য সেখানে গেলে এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ধরে ।এসময় এলাকাবাসী তারা তাদের কুঠিবাড়ির নানা সমস্য ও দাবীর কথা সাংবাদিকদের জানান। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় অবহেলীত এই নীল কুঠির ১০০ শত বিঘা বেদখল হতে চলেছে । ৩.১ একর জমি প্রত্মতত্ব বিভাগের ১ হাজার টাকা রেজিঃ করে জেলা প্রশাসন প্রস্তাব পাঠালেও তা ফাইল বন্ধী হয়ে রয়েছে । পিকনিক কর্ণারটি ১৯৮০ সালের খুলনা বিভাগীয় খুলনা বোর্ডের আওতায় দীর্ঘ ৩৩ বছেরে সংস্কার করা হয়নি। জেলা প্রশাসন প্রতি বছর আমবাগানের ফল ও ,পুরানো গাছ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করলেও এত্যিহাসিক নীল কুঠির কোন রকম উন্নয়ন মূলক কাজের ছোয়া লাগেনি। বরং এক শ্রেণীর লোক নীলকুঠি বাড়ির ইতিহাস ধবংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আর এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মেহেরপুর জেলাবাসী।্ তাই সরকারে পর্যটমন্ত্রণালয়ের নিকট মেহেরপুর জেলাবাসীসহ অত্র এলাকার মানুষের দাবি এই অবহেলিত আমঝুপি নীল কুঠি বাড়িটিকে সংস্কার করে পর্যটকদের দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হোক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিভির মেহেরপুর প্রতিনিধি ও জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আমিন হোসেন, আমঝুপি ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ইসলাম. সাবেক মেম্বাক্ষ মোস্তাক রাজা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিন চুন্নু , আশরাফ হোসেন, সাংবাদিক আকতারুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ।
মেহেরপুর সংবাদ