নয়ন, আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে ২ সন্তানের জননীকে হত্যা করে আড়াই ঝুলিয়ে রেখে পাষন্ড স্বামী বহু বিবাহের খলনায়ক ফজলুর রহমান পলাতক রয়েছে।
গাংনী থানা পুলিশ নিহত গৃহবধু সাবিনা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে রবিবার। জানা যায়, একই উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের মহাসিন আলীর মেয়ে সাবিনার সাথে মহিষাখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ফজলুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে ২ টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাবিনার উপর যৌতুকের জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ইতোমধ্যে ভ্যান চালক ফজলুর রহমান আরো ৪ টি বিয়ে করেছে। প্রতিটি স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে কিছুদিন পর তাদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
নিহতের বোন লিপি খাতুন জানান, বেশ কয়েকদিন যাবৎ আমার বোন সাবিনার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল ফজলুর রহমান। রবিবার দুপুরে আমার বোন কে হত্যা করে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানের চেষ্টা করেছে সে। এক পর্যায়ে আমাদের পরিবারের লোকজন আমার বোনকে দেখতে আসার সাথে সাথে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনার পর থেকেই পাষন্ড স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।