আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ জামায়াত ইসলামীর ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতাল সমর্থনে মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং গাড়ী ভাংচুর টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক আবরোধ করে জামায়াত শিবির কর্মীরা। এসময় র্যাব ও পুলিশের সাথে হরতাল সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৩ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। এসময় গাংনী থানার ওসি ও এসআই সহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ যুগিন্দা গ্রাম থেকে আরিফুল ইসলাম ও সুজন এবং রাজনগর থেকে কফিল উদ্দীন নামের এক জামায়াত আটক করেছে ।
জানা গেছে,মঙ্গলবার ভোর থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাড়াডোব বাজারে ৪৮ ঘন্টার হরতাল সমর্থনে পিকেটিং শুরু করে জামায়াত শিবির কর্মিরা। এসময় গাড়ী ভাংচুর টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক আবরোধ করে তারা। এঘটনায় র্যাব ও পুলিশের সাথে হরতাল সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৩ রাউন্ড কাদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। হরতাল সমর্থকদের ইটের আঘাতে গাংনী থানার ওসি মাসুদুল আলম ও এসআই ফারুকুল ইসলাম ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য সহ জামায়াত শিবিরের ২০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পিকেটিং চলাকালে প্রধান সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গাংনী থানার ওসি মাসুদুল আলম জানান,পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
অপরদিকে মেহেরপুর সদরের আমঝুপি, রাজানগর ও বারাদী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে জেলা জামায়াত ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে হরতাল সমর্থকদেও ধাওয়া পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় আমঝুপি মাধ্যেমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাছের গুড়ি ফেলে মেহেরপুর – চুয়াডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে এরপর জামায়াত শিবিরের কর্মীরা আমঝুপি বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তীতে সকাল ৭ টার সময় জামায়াত শিবিরের কর্মীরা রাজনাগর বাজারে টায়ায়র জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। অপর দিকে বারাদি বাজারে জামায়াত শিবিরের সমর্থকরা গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মিছিলে পুলিশ বাঁধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে জামায়াত শিবিরের কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ মিছিলকে লক্ষ করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জবাবে মিছিলকারী পুুলিশেকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে । এক পর্যায়ে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়। পুলিশের ছোড়া বারার বুলেটে ৬ জন জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মী মারাত্মক আহত হয়। এসময় মিছিল থেকে জামায়াতের কর্মী খোকসা গ্রামের কফিলউদ্দিনকে পুলিশ আটক করে। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুল মতিন‘র নেতৃত্বে জামায়াত ও শিবিরের শত শত নেতা কর্মী হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধে অংশগ্রহন করে। মেহেরপুর সদর থানা ওসি জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এছাড়া মোনাখালী,দারিয়াপুর,ছাতিয়ান,বাওট,শুকরকান্দি,আমঝুপি বাজার,দ্বীনদত্ত ব্রীজ গ্রামে টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক আবরোধ করে জামায়াত শিবির কর্মীরা।