আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক লম্পট সোহেলের (২৭) লালসার শিকার হয়েছে একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী (১০)। সোহেল পলাতক থাকায় তার শ্বশুর আব্দুস সামাদ ও শ্যালক জাকির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ ।
লম্পট শিক্ষক সোহেল আহম্মেদ জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় লম্পট শিক্ষক সোহেল আহম্মেদ ওই ছাত্রীটিকে জোড়পুকুরিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুর আব্দুস সামাদের বাড়ির ছাদে প্রাইভেট পড়ানোর পর জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
জোড়পুকুিরয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দীন জানান, ওই ছাত্রীটি সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সানরাইজ প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক সোহেল আহম্মেদের কাছে প্রাইভেট পড়ত। প্রাইভেট শেষে সকল ছাত্র ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে তাড়িয়ে দিলেও কৌশলে ওই ছাত্রীটিকে আটকিয়ে রাখে। পরে লম্পট ছ্রাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ইতোপূর্বে সোহেল এর বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে ।
ছাত্রীটি তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তার অভিভাবকরা মেয়েটিকে গাংনী থানায় নিয়ে আসেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, ওই ছাত্রীর পিতা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা করেছেন। যার নং ৯। তাং ০৬/০৫/১৩ ইং । ধর্ষণ চেষ্টাকারী সোহেলকে আটকের জন্য পুলিশের একটি টিম সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান শুরু করেছে।
গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তি আব্দুস সাত্তার ,রফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল আহম্মেদ এর আগেও একই স্কুলের ২ জন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিস হয়েছে। অন্যদিকে এ খবর পেয়ে রুরাল ভিশন নামের একটি সংস্থা আইনি সহায়তা দিতে মেয়ের পরিবারকে সার্বিক সহযোগীতা করছে বলে জানিয়েছেন রুরাল ভিশনের পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম।
