ককটেল বিস্ফোরণ, বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে মেহেরপুরে পালিত হচ্ছে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর, মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাটা মোড় ও মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কায়েম কাটার মোড়, বড়বাজার চার রাস্তার মোড় ও বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এদিকে অবরোধের প্রথম দিন থেকেই আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সকাল সাড়ে ৬ টার সময় বিএনপির সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে পিটিআই এলাকা থেকে এশটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বন্দর মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যামে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফারুক হুসাইন। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। সদর উপজেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন, বিএনপিনেতা খালেকুজ্জামান মজনু, সাহাবুদ্দীন মেল্লা সহ ১৮ দলীয়জোটেরনেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিল।
এদিকে ভোর থেকেই মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর নামক স্থানে জাময়াতের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেই। গাছের গুড়ি, ইট ফেলে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে দ্বীনদত্ত ব্রীজের সামনে থেকে আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল জাব্বারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলবের হয়।
সকাল সাড়ে ৬ টার সময় জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কায়েম কাটারমোড়ে টায়ারে আগুন, গাছের ডাল-পালাও ইট ফেলেমেহেরপুর-কাথুলী সড়ক অবরোধ করে রাখে হরতাল সমর্থকরা। পরে তারা কায়েম কাটা মোড় থেকেপৌর কলেজ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পৌর জামায়াতের আমির মাও. মাহাবুবুল আলম, শিবির সেক্রেটারি সাব্বির আহম্মেদ, বিএনপিনেতা আব্দুর রহিম সহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।