মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মী সমর্থকরা। এসময় উপজেলা সার্ভার স্টেশন (নির্বাচন কার্যালয়), সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মহুরাদের বসার স্থান ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ক্লাবে (স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে পরিচিত) ও কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ক্লাবের আসবাব পত্র ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। ভাংচুরের সময় অন্তত ২০-২৫টি ককটেল বোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। বিক্ষুদ্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপি সভাপতি ও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনর নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক গাংনী উপজেলা শহরের উপকন্ঠে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পুর্ব আখ সেন্টার, মেহেরপুর-হাটবোয়ালিয়া সড়কের পুর্ব মালসাদ ও গাংনী-মেহেরপুর সড়কের শিশিরপাড়া মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। টায়াারে আগুন দিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দেয় অবরোধকারীরা। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের সড়কের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাধা ডিঙ্গিয়ে তিনি দিক থেকে গাংনী শহরে প্রবেশ করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ অবরোধকারীরা ভাংচুর ও ককটেল বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়।
অপরদিকে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কে দিনদত্ত বিজ্রে কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মতিন, বিএনপি নেতা আলীম, জামায়াত নেতা আব্দুল জাব্বারের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে ১৮ দলীয় নেতা কর্মীরা ।একই স্থানে মহিলা জামায়াতের নারী কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তারা সড়কের উপর বসে পড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বকত্ব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা আব্দুল মতিন, আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আবদউল জাব্বার।মজিবনগরের গৌরিনগরে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ ,মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমির জশিউর রহমানের নেতৃত্বে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ।অন্যদিকে মুজিবনগর সড়কে বন্দরের মোড়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ১৮ দলের কর্মীরা লাটি শোঠা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৮ দলীয় নেতাকর্মী। এসময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়।
অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। মেহেরপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে কোন অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার যানবহন ছেড়ে যায়নি। সামান্য পরিমাণে ছোট ছোট যান -নছিমন, করিমন, আলগামন, অটোরিক্সা ও ব্যক্তিগত যানবহন চলাচল করছে।