মেহেরপুরের গাংনীতে   ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান–  আমে ফরমালিন মেশানো দায়ে প্রাণ কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ দু’জনের জেল ও জরিমানা — ৯০টন আম বিনষ্ট।

মেহেরপুরের গাংনীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান– আমে ফরমালিন মেশানো দায়ে প্রাণ কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ দু’জনের জেল ও জরিমানা — ৯০টন আম বিনষ্ট।

p-602আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের আমে ফরমালিন মেশানো ও p-603অবৈধভাবে আম সংরক্ষণ করার দায়ে প্রাণ আরএফএল নাটোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ দু’জনের জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ রায় ঘোষনা করেন। সেই সাথে জব্দকৃত ৯০ টন আম বিনষ্ট করার আদেশ দেয়া হয়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম জানান, গাংনীর কাজীপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় জনৈক আব্দুল মজিদ মাষ্টার তার নিজ বাড়িতে একটি মিনি কারখানা গড়ে তুলে সেখানে আমে বিষাক্ত ফরমালিন মেশানো হচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয়। গাংনী স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ও পুলিশ নিয়ে ওই সংরক্ষিত আম পরীক্ষা করে তাতে ৩৫% বিষাক্ত ফরমালিন পাওয়া গেলে ৯০ টন আম জব্দ করে কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে রেখে উচ্চতর পরীক্ষণের জন্য বিএসটিআই খুলনাকে জানানো হয়। মঙ্গলবার বিএসটিআই এর উর্ধ্বতন পরীক্ষক মাসুম বিল্লাহ ও মাঠ কর্মকর্তা মাজহারুল আম পরীক্ষা করে বিপদজনক মাত্রায় ফরমালিন দেখতে পান। পরে ভ্রাম্যমান আদালত কারখানার মালিক আব্দুল মজিদ মাষ্টার ও প্রাণ আরএফএল কোম্পানী নাটোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেনকে ২ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে মেহেরপুর কারাগারে পাঠায়। এদিকে মিনি কারখানার সন্ধান ও বিষাক্ত ফরমালিন p-604মেশানোর সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদ হোসেন, গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এমরান p-605আহমেদ, সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খুলনা বিএসটি আই এর উর্ধ্বতন পরীক্ষক মাসুম বিল্লাহ জানান, এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তার পরে সাধারণ পানি মিশিয়ে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহার করা হয়েছে যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ। আম পরীক্ষা করে ১৮০পিপিএম ফরমালিন পাওয়া গেছে। মোট ৮৮৭টি ড্রামে মোট ৯০ মেট্রিক টন আম সংরক্ষণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত কারখানার মালিক আব্দুল মজিদ দাবী করেছেন, তিনি গত ৫ মে ২০১৩ ইং তারিখে ঢাকা গাবতলী সেন্ট্রাল মার্কেটের মামা গ্রুপ থেকে ২০০ টন সংরক্ষিত আম সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করেন ও সে অনুযায়ী আম কেটে ক্যামিকেল মিশিয়ে সংরক্ষণ করেন। যার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আরএফএল কোম্পানী নাটোরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ।
ভ্রাম্যমান আদালত আরো জানান, সংরক্ষিত আম ছাড়াও গুদাম ঘরে বিষাক্ত ফরমালিন ও ভিনেগার পাওয়া গেছে যা মারাত্মক ক্ষতিকর
মেহেরপুর সংবাদ