পাল্টে গেছে মেহেরপুরের গাংনী ভূমি অফিসের চালচিত্র

পাল্টে গেছে মেহেরপুরের গাংনী ভূমি অফিসের চালচিত্র

gagni mapফারুক আহম্মেদ, আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসে পাল্টে গেছে নাগরিক সেবার মান।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান আহমেদ এ উপজেলায় যোগদানের পরই পাল্টে গেছে সকল ব্যবস্থাপনা। গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি কমিশনার না থাকার কারনে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ উপজেলা বাসির ভোগান্তির শেষ ছিলনা।
অফিসে নানা অনিয়ম,ঘুঁষ দূর্নিতী সহ অযাথা হয়রানি ছিল এ অফিসের নিত্যদিনের সংগী। এছাড়া ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে হত সাধারণ জনগণকে। স্থানীয়রা জানান, ভূমি অফিসে পড়চা উত্তোলন, নাম পত্তন জারী, খারিজ করা, খাজনা প্রদান , মিস কেস, ভূমিহীন বন্দোবস্ত এবং অর্পিত সম্পত্তি নিস্পত্তিতে ভোগান্তি শেষ হয়েছে। এসব কাজ করতে গেলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করা লাগেনা। ভূমি অফিস সূত্র জানান, ইমরান আহমেদ যোগদানের পর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫৪ জন ভূমিহীনের মাঝে সরকারী খাঁস জমি বন্দোবস্তো দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৩ টি মিস কেস নিস্পত্তি করা হয়েছে। এসব মিসকেসগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা বছরের পর বছর ঘুরে অতিরিক্ত টাকা পয়সা ছাড়াও ব্যায় করতে হয়েছে মূল্যবান সময়। উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বশির আহমেদ জানান, ২০০৮ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মিস কেস হয়েছিল। অনেকদিন এ মামলাটি নিয়ে ভূমি এসে ঘুরেছি। অবশেষে ভূমি কমিশনার ইমরান আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ে আমার মামলাটি নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। একই কথা জানালেন সাহারবাটি গ্রামের হজরত আলী ও বাওট গ্রামের হাউস আলী। হজরত আলী জানালেন ২০০৯ সালের মিস কেস অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এ অফিস নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। এজন্য আমার অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করতে হয়নি। বাওট গ্রামের হাউস আলী জানান, ভূমি অফিসে ঢোকার আগেই লেখা দেখেছিলাম দালাল চক্র থেকে সাবধান ও আপনার সমস্যাটি সরাসরি অফিসারকে বলুন। তাই আমি আমার সমস্যাটি সরসরি ভূমি অফিসারকে বলেছিলাম। তিনি আমার সমস্যার কথা শুনেই অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান দিয়েছেন মামলাটির।গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক আমির উদ্দীন (৭০), নওপাড়া গ্রামের রহিম মন্ডল (৫৫) কশবা গ্রামের সমসের আলী জানান, জমির খারিজ করতে এসে ঘুরতে হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ হয়ে গেছে। ভরাট গ্রামের শাহাজান আলী ও ধর্মচাকী গ্রামের সাহারুল ইসলাম জানান,রেকর্ড তোলার জন্য অফিসের সামনে আসতেই ভূমি অফিসার হাসি মুখে বলেছেন আপনার জন্য কি করতে পারি ? সে আমাদের সমস্যার কথা শুনে অভয় দিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের কাজ হয়ে যাবে।গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম ভূমি কর্মকর্তা ইমরান আহমেদের কাজের সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, শুধু কাজ নয় তার অফিস ফাইল ব্যবস্থাপনা ও অফিসের পরিচ্ছন্নতারও প্রশংসা করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান আহমেদ জানান, অফিসে এসে সেবা না পেয়ে চলে যাবে এটা আমি চাইনা। তাছাড়া জনগনের ভোগান্তি কমাতে আমি সব সময় চেষ্টা করে যাব।
মেহেরপুর সংবাদ