জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে সাত দিনে ৭ পুলিশসহ ৬৭ জন নিহত ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে যথাযথ  পদক্ষেপ -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে সাত দিনে ৭ পুলিশসহ ৬৭ জন নিহত ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে যথাযথ পদক্ষেপ -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

sar- minsজামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে সাত দিনে ৭ পুলিশসহ ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। এর দায় জামায়াত-বিএনপি নেতাদের নিতে হবে। একইসঙ্গে জনগণের সম্পদ ধবংসের দায়ও তাদের নিতে হবে। আজ সন্ধ্যায় ৩০০ বিধিতে দেয়া এক বিবৃতিতে  দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারা দেশে তাণ্ডব ও সহিংসতায় জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি বিএনপিকেও দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তবে নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ায় সারা দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে উসকানিদাতা জামায়াত ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতির জন্য সরকার ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।   তিনি বলেন, এসকল ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন থানায় প্রচলিত আইনে ২৩৫টি মামলা হয়েছে। আর এক হাজার ৫৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে পল্লী বিদ্যুতের অফিস এবং সমিতির আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুরের  ফলে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৫০ মিনিটের দীর্ঘ বক্তব্যে নানা বিষয় থাকলেও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল ও সংগঠন, নাগরিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা বা মতবিনিময়ের কোনো প্রস্তাব ছিল না। এমনকি তিনি এসব দলকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেননি। তবে দেশবাসীকে তিনি জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশে সকল প্রকারের হিংসাত্মক ঘটনা, নৈরাজ্য ও দুষ্কৃতি দমনে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

বাংলাদেশ