গাংনীর শালদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তালা মেরেছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসি—-প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ নানা অভিযোগ

গাংনীর শালদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তালা মেরেছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসি—-প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ নানা অভিযোগ

gagni mapমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের এস এ আর বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয় টিতে তালা মেরেছে বিক্ষুদ্ধ গ্রাম বাসি ও অভিভাবক বৃন্দ।
প্রধান শিক্ষক এনামুল হোসেন ও সভাপতি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছে গ্রামবাসি। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ২০০৪ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পরপরই সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও কম্পিউটার শিক্ষক মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকলেও কাগজে কলমে তারা বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছে বলে শিক্ষাদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক এনামুল হোসেনের স্ত্রী সহকারী শিক্ষক মিফতাহুল জান্নাত ব্যাক্তিগত কারনে গত ২০০৯ সালের মে মাসের ৯ তারিখে প্রধান শিক্ষক বরাবর অব্যহতি চেয়ে আবেদন করলে ১০/০৫/২০০৯ ইং তারিখে আবেদন টি গ্রহন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবার নিয়োগ ছাড়াই মিফতাহুল জান্নাত ২০১২ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করে। প্রধান শিক্ষক এনামুল হোসেন দাবি করে বলেছেন সহকারী শিক্ষক মিফতাহুল জান্নাত কে তার অনুদানের টাকা ফেরত না দিতে পারায় তার অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করা হয়নী। এছাড়া ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তিকরা হয়। কিন্তু পরে সরকার এমপিও বাতিল করে।পুনরায় এমপিও ভুক্ত করার জন্য আইনী খরচ বাবদ ৫ লক্ষ ও অন্যন্য খরচ বাবদ আরো ৮৪ হাজার টাকা ব্যায় করা হয়।
তবে অন্যন্য শিক্ষকদের দাবি প্রধান শিক্ষক এনামুল ও সভাপতি আতিকুর রহমান ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার বেশির ভাগ আত্বসাৎ করে।
তবে অর্থ আত্বসাৎ ও অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি।
মেহেরপুর সংবাদ