ক্ষমতার দাপট ! কলেজকে জিম্মি করে কোন ক্লাস না নিয়েই ৫ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন গাংনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমান

ক্ষমতার দাপট ! কলেজকে জিম্মি করে কোন ক্লাস না নিয়েই ৫ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন গাংনী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমান

গাংনী সংবাদদাতা আমাদের
clip_image002মেহেরপুর ডট কম ২৮ ফেব্র“য়ারী ঃ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্ব পালন করায় মুল দ্বায়িত্ব থেকে পিছিয়ে পড়েছেন গাংনী ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুর রহমান। কলেজ সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষের আস্থা ভাজন হওয়ায় তিনি সপ্তাহে একদিন কলেজে এসে বাকী ৬ দিনের স্বাক্ষর করেন। বছর পাঁচেক ধরে এভাবেই তিনি কলেজের শিক্ষকতার দ্বায়িত্ব পালন না করেই বেতন উত্তোলন করলেও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। তবে কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সাহেবকে অবহিত করেও কোন ফল পাননি বলে দাবী করলেও কলেজ সভাপতি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। জানা যায়, গাংনী ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক হিসাবে সাইদুর রহমান ১৯৮৭ সালে অত্র কলেজে যোগদান করেন। যোগ দানের পর থেকেই তিনি ঢিলে ঢালা ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করলেও বছর পাঁচেক পূর্ব থেকে তিনি একেবারেই কলেজের দ্বায়িত্ব পালন করা বা ক্লাস নেওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। গত বছর তিনি একাধারে ৪০ দিন কলেজে উপস্থিত না হয়ে কলেজে এসে স্বাক্ষরের চেষ্টা করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটেনডেন্ট খাত্ায় স্বাক্ষর করতে বাধা দেয়। এ সময় সে খুটির জোর দেখিয়ে জেলা প্রশাসক আসলে তার সহযোগীতায় স্বাক্ষর করলে শিক্ষদের মাঝে তীব্র ক্ষেভের সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা অসহায়ের মত এ সকল অনিয়ম মেনে নেয় । এ ঘটনার পর থেকে প্রভাষক সাইদুর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গত ২ বছরে কলেজে অনিয়মিত ভাবে কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও তার কোন ছুটির আবেদন পাওয়া যায়নি। একটি সুত্র জানায়, প্রভাষক সাইদুর রহমান মেহেরপুর ভৈরব সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চত্বরের সহ- সভাপতি, মেহেরপুর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও লোক মোর্চার সভাপতি আমঝুপি পাবলিক ক্লাবের সহ সভাপতি । এ ছাড়াও বেসরকারী সংস্থা মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা ও শিক্ষা কমিটির সভাপতিসহ অন্ততঃ ২৮ টি সংগঠনের সাথে জড়িত।তিনি দর্পভরে বলেন আমি ২৮ টি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে আসছি । প্রতিদিন এ সকল সংগঠনের কাজে লিপ্ত থাকায় তিনি কলেজে আসেন না বা ইচছা করে না এসে অনেক সময় তাকে একটি ক্লবে তাস খেলতে দেখা যায় ।। পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন তিনি এম পি ডিসি সাহেব ডাকছেন বা কাজ দিয়েছেন বলে চলে যান কোনদিন কলেজের ক্লাস নিতে চান না । আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় অসহায়ের মত আমার করার কিছু ছিল না।কলেজের কয়েকজন প্রভাষক ও ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রভাষক সাইদুর রহমান কোন দিনই ক্লাস নেন না। অন্য শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস করানো হয়। মাঝে মধ্যে তিনি এসে স্বাক্ষর করতে আসেন । মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও গাংনী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের আস্থাভাজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পান না। এ ব্যাপারে প্রভাষক সাইদুর রহমান তার কলেজে না আসা ও ক্লাস না নেয়ার বিষয়ে কোন কথা বলতে চান নি। তবে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান জানান, তিনি লিখিত ও মৌখিকভাবে কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সাহেবকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। নিয়মানুযায়ী কলেজের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে সঠিক সময়ে কলেজে উপস্থিত হতে হবে এবং সঠিক সময়ে যেতে হবে কিন্তু অনেকেই তা করেন না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রভাষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। কলেজ অধ্যক্ষ কোন দিন কোন বিষয়ে জানান নি। ক্লাস না করেই স্বাক্ষর করার কোন নিয়ম নেই। তাছাড়া কোন দিন তিনি কলেজে এসে সাইদুর রহমানকে অনুপস্থিত থাকার দিনগুলিকে স্বাক্ষর করার জন্য সহায়তা করেননি।

মেহেরপুর সংবাদ