কামরান আকমলের ব্যাটিং তাণ্ডবে হারল ভারত।

স্পোর্টস ডেস্কঃ    টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। উত্তাপের সে ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। কামরান আকমলের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে এই জয় পায় ২০১০-এর টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের করা ১৮৬ রানের জবাবে কামরান আকমলের ৯২ রানের সুবাদে পাঁচ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৫০ বলে পাঁচ চার আর ছয় ছয়ে এই রান করেন। আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে এবং ২৫শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান।

ম্যাচের আগে গণমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তানের এই প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। কেউ কেউ টেনে আনছেন দুই দেশের বৈরিতার ইতিহাসও। তবে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই ম্যাচ নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলার কিছু নেই। এটি নিছক একটা প্রস্তুতির ম্যাচ। তবে হাফিজের এই কথার ছিটেফোঁটাও ছিল মাঠে। টস থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সিরিয়াস ছিল দু’দলের ক্রিকেটাররা। তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটা নিছক প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের পেসারদের তোপে পড়ে ভারত। ৪৫ রানের মধ্যেই ভারতের উদ্বোধনী জুটি গুঁড়িয়ে দেন উমর গুল ও সাঈদ আজমল। ব্যক্তিগত ১০ রানে উমর গুলের বলে বোল্ড গৌতম গম্ভীর। আর ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আজমলের বলে শহীদ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দেন সেওয়াগ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বিপদ শামাল দেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করে এই জুটি  সংগ্রহ করে ১২৭ রান। হাফ সেঞ্চুরি করে আজমলের দ্বিতীয় শিকার হন রোহিত শর্মা। ছয়টি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৫৬ রান করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত কোহলি অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। মূলত তার কল্যাণে তিন উইকেটে ১৮৫ রান করে ভারত। ১৮৬ জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুর দিকে সুবিধা করতে পারেনি হাফিজ বাহিনী। ৯১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার উপক্রম হয় তাদের। রবিচন্দ্র অশ্বিন একাই চার উইকেট দখল করে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন। কিন্তু কামরান আকমলের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান শুধু বিপদই সামাল দেয়নি; জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আকমল ৯২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। পাঁচটি চার ও ছয়টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এছাড়া অপরাজিত ৩৭ রান আসে সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে।

খেলাধূলা