ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের   ক্ষেত্রের স্থানীয় দুই সাংবাদিকের অনন্য ভূমিকা জাতির কাছে উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন॥

ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ক্ষেত্রের স্থানীয় দুই সাংবাদিকের অনন্য ভূমিকা জাতির কাছে উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন॥


Angurনয়ন/ সুমন আমাদের মেহেরপুর ডট কম :
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুতিকাগার মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণে স্থানীয় দুইজন সাংবাদিক মহসিন আলী আঙ্গুর ও তুহিন আরণ্য’র লেখনীতে তৎকালীন সরকার ১৯৮৭ সালে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। যে ইতিহাস আজ মানুষের দৃষ্টির বাহিরে রয়েছে তা এখন উন্মোচন হওয়া জরুরী।
এ ব্যপারে তৎকালীন দৈনিক আজাদের মেহেরপুর প্রতিনিধি মহসিন আলী আঙ্গুTuhinর (বর্তমানে ভাইস প্রিন্সিপাল মেহেপুর পৌর ডিগ্রী কলেজ) বলেন ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে মেহেরপুর জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক আব্দুল হক চৌধুরী মুজিবনগরের রতনপুর মাঠে একটি মেলার অনুষ্ঠানে আমি এবং তুহিনকে মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠান ও ঐ স্থানটির বিষয়ে জানতে চাই। আমরা দুইজন তাকে আমাদের ঐ স্থান সম্পর্কে মেহেরপুর শহর থেকে প্রায় ১৬ কি:মি: দক্ষিণে আধাপাকা কাাঁচা সড়কের উপর দিয়ে ভ্যানে চড়ে মুজিবনগরের জঙ্গল বেষ্ঠিত আ¤্রকাননে উপস্থিত হই। এবং মুজিবনগর সরকারের গঠনের শপথ বেদি বেষ্ঠিত স্থানগুলো সরেজমিনে ঘুরে এসে ছবিসহ রির্পোট করি। ঐ রিপোর্ট প্রকাশের পর তৎকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। এবং সরকারী উচ্চ পর্যায়ের আমলরা সহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ মেহেরপরে এসে আমাদের কে নিয়ে মুজিবনগর পরিদর্শন অব্যাহত রাখে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সরকার ১৯৮৬ সালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ তৈরীর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাস্তবায়ন করেন। যার প্রেক্ষিতে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন সরকার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন হয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে তৎকালীন সাংবাদিক তুহিন আরণ্য (বর্তমানে জজ কোর্টের আইনজীবি) বলেন, ১৯৮৫ সালে খুব সকালে সহকর্মী মহসিন কে নিয়ে ভ্যান যোগে (আসা যাওয়া বাবদ ৪৫ টাকা) মুজিবনগরে হাজির হয়। সেখানে বন জঙ্গলে ঢাকা শপথের স্থানটি স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে চিহ্নিত করে আমরা ছোট ক্যামেরায় ছবিতুলে রির্পোট করি। এই মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পেছনে আমরা গুটি কয়েক সাংবাদিক নিরলসভাবে ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু জাতি বা দেশ আমি এবং আঙ্গুরসহ তৎকালীন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মরহুম ছহিউদ্দিন সাহেবের নামটিকেও মনে রাখেনি। যা আমাকে চরম পীড়া দেয়। জাতির সঠিক ইতিহাস জানা উচিৎ।
মেহেরপুর সংবাদ