ইংরেজ রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের ওড টু নাইটিঙ্গেল’কবিতায় আফিমের রং!

কবিতায় কল্পনার সৌন্দর্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন কিটস। কল্পনার সৌন্দর্যে আফিমের রং! ইংরেজ রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের এক নতুন জীবনীতে লেখক নিকোলাস রো তাঁর জীবন ও সাহিত্যে আফিমের প্রভাবও বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল।আফিমের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা শুরু হয় ১৮১৮ সাল থেকে ১৮১৯ সালের বিখ্যাত কবিতা, ওড টু নাইটিঙ্গেল-এর ‘হাফ ইন লভ উইথ ইজফুল ডেথ’ বা ‘এম্পটিড সাম ফুল ওপিয়েট টু দ্য ড্রেনস’-এর মতো পংক্তি তারই সাক্ষ্য বহন করছে বলে নিকোলাসের মত। ডি কুয়েন্সি-র ‘কনফেশনস অফ অ্যান ইংলিশ ওপিয়াম-ইটার’ বা কোলরিজের ‘কুবলা খানে’র মতো কবিতায় যেমন আফিমের অবদান আছে বলে মনে করা হয়, তেমনই কিটসের ‘ওড অন ইনডোলেন্স’ বা ‘ওড টু নাইটিঙ্গেল’-ও তাই অন্তত নতুন এই জীবনী সে রকমই বলছে। আর সেই সূত্রেই রোম্যান্টিক কবিদের ঘরানায় টমাস ডি কুয়েন্সি, স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ, উইলকি কলিন্স এবং পি বি শেলির সঙ্গে কিটসের নামও আফিমখোরদের তালিকায় ঢুকে যাচ্ছে। কিটসের আর এক জীবনীকার অ্যান্ড্রু মোশন তাঁর বইতে লিখেছিলেন, কিটসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চার্লস ব্রাউন কিটসকে আফিমের নেশায় পড়তে বারণ করেছিলেন। অ্যান্ড্রুর মতে, কিটস বন্ধুর কথা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু নিকোলাস বলছেন, কিটস যে সে কথা মেনেছিলেন, এমন কোনওপ্রমাণ রাখেননি, কিটসের ভাই টম তখন ক্ষয়রোগাক্রান্ত, মৃত্যুপথযাত্রী। ব্যথা উপশম করার জন্য ভাইকে আফিম খেতে দিতেন কিটস। ভাইয়ের থেকেই ক্ষয়রোগ তাঁর মধ্যেও সংক্রামিত হয় এবং ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে কিটস নিজেও নিয়মিত আফিম সেবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। নিকোলাস বলছেন, কাহিনির অন্তিম মোচড়টি এল নেপল্স-এর যাত্রাপথে। চিকিৎসার জন্যই চিত্রকর বন্ধু জোসেফ সেভার্ন-কে সঙ্গে আফিমের ডিবে লুকিয়ে রেখেছিলেন সেভার্ন। ফলে যন্ত্রণা উপশমের সুযোগ আর পাননি কিটস। কিটসের রোগ তখন থেকেই মারাত্মক হয়ে উঠতে থাকে।
কবিতায় কল্পনার সৌন্দর্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন কিটস। সৌন্দর্যই ছিল তাঁর কাছে শেষ সত্য, আর কল্পনার মধ্য দিয়েই তাতে উপনীত হওয়া যায় বলে মনে করতেন তিনি

বিনোদন