আমি কাউকে এ দেশ থেকে  তাড়িয়ে দিচ্ছি না, শুধু আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করছি।” ড্যামিয়েন গ্রিন, ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী

আমি কাউকে এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছি না, শুধু আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করছি।” ড্যামিয়েন গ্রিন, ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী

বুধবার রাতে ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী ড্যামিয়েন গ্রিন বলেছেন যে তিনটি ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ব্যর্থতা ধরা পড়েছে সেগুলি ১০১জন শিক্ষার্থীকে নমুনা ধরে তথ্য যাচাই করা হয়েছিল ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ শিক্ষার্থীর ইংরেজি যোগ্যতা সম্পর্কে ‘যথাযথ কোনো তথ্য’ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিশ্চিত হওয়া উচিত যে ছাত্ররা ভিসা নিয়ে সেখানে পড়াশোনা করতে আসছে, তারা স্টুডেন্টস্-ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে কাজ করতে ঢুকছে না। সেখানে দেখা গেছে এদের এক চতুর্থাংশের ব্রিটেনে থাকার অধিকার নেই তারা ক্লাসে যোগ দিচ্ছে কীনা কোনো রেকর্ডই নেই । অভিবাসন কর্তৃপক্ষ নমুন পরীক্ষায় দেখেছে অর্ধেকের বেশি ছাত্রের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রেকর্ডই নেই   । যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ইউ.কে. বর্ডার এজেন্সি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেছে ছয় মাসে আগে মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির এই সমস্যা চিহ্ণিত করে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এই ব্যর্থতা সম্পর্কে কোনোরকম ব্যবস্থাই নেয়নি।

ইংল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা ফান্ডিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা এবং শুধুমাত্র লন্ডন মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রেই এই ব্যর্থতার নজির পাওয়া গেছে।লন্ডন মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার এবং এখানে বাংলাদেশীসহ প্রচুর দক্ষিণ এশিয় ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য  ছিল।কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যুক্তরাজ্যের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে না।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কারণে যারা বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়ছেন তাদের সাহায্য করার জন্য সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে।

 

আন্তর্জাতিক