আবারো গাংনীর পলাশীপাড়া ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যু শষ্যায়

আবারো গাংনীর পলাশীপাড়া ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যু শষ্যায়

gagni mapআমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ ভুল অপারেশনে এক রুগীর মূত্যুর পর আবারো ফেরদৌসি নামের এক রোগি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । ঘটনাটি গাংনীর পলাশীপাড়া ক্লিনিকে। ক্লিনিক টি বিদেশী সাহায্য পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে।
ফেরদৌসির ভাই তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হুদা জানান, ফেরদৌসি অসুস্থ হলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. পারভীনকে দেখানো হলে তিনি গত ৯ জুন পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতি পরিচালিত ক্লিনিকে হিসটেকটমি অপারেশন করেন। এসময় তাকে কোন এনেসথেসিয়া ডাক্তার দিয়ে অজ্ঞান করানো হয়নি। রোগির সাথে খারাপ আচরণও করা হয়েছে। পরে রোগির অবস্থা অবনতি হওয়ায় মুমুর্ষ অবস্থায় গত ১৭ জুন কুষ্টিয়া সনো ল্যাবে ভর্তি করা হয়।
সনো ল্যাবে কর্মরত ডা. আমিরুল ইসলাম জানান, রোগির হিসটেকটমি অপারেশনের মতো কোন কারণ ছিল না। তার পরও অপারেশনের পর ৪টি পয়েন্টে সেলাই দেয়ার সময় লুজ রাখা হয়। ফলে রক্তক্ষরণ হয়ে তা অপারেশনের জায়গাতে জমা হয়ে রোগির অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। এখনও ফেরদৌসি আশংকামুক্ত নন। তাকে ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। ফেরদৌসি গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের মসলেম উদ্দিনের স্ত্রী।
এব্যাপারে ডা. পারভীন জানান, কোন রোগি অপারেশন করতে হলে তার আগে বন্ড (দায় মুক্তি সনদ) নেয়া হয়ে থাকে। রোগি ফেরদৌসিও এরকম বন্ড দিয়েছেন। তার কোন সমস্যা হলে দায়ভার নিজেদেরই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ দ্বায়ি নয়। আমরা তাকে জোর করে অপারেশন করাই নি।
ক্লিনিক ম্যানেজার হাসানুজ্জামান জানান, রোগির সাথে ডাক্তারের চুক্তি হয়েছে। এরা শুধু আমাদের ক্লিনিকটি ব্যবহার করেছেন মাত্র। একই কথা জানালেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির পরিচালক মোশারফ হোসেন। সম্প্রতি সময়ে পলাশীপাড়া ক্লিনিকে গাইনী ডাক্তার মমিনের ভুল অপারেশে এক মহিলা রুগীর মূত্যু হয়। এ নিয়ে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মেহেরপুর সংবাদ