মুশফিকুর রহিমদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ফিরেছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয়দের জয়ের নায়ক মারলন স্যামুয়েলস। ১২৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। তাঁর ১৪৯ বলের এই ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও দুটি ছয়ের মার। দলের বড় জয়ে সুনীল নারাইনের অবদানটাও আলাদা করে উল্লেখ না করলেই নয়। তাঁর স্পিন-বিষেই তো মাত্র ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
২২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫ রানেই ক্রিস গেইলের (৪) উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিকারি মাশরাফি। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে কাইরন পাওয়েল ও স্যামুয়েলসের ১১১ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ক্যারিবীয় দল। ৪৭ রান করা পাওয়েলকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রণ থেকে ম্যাচ বের করে আনতে পারেনি বাংলাদেশ।
দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে ২২৭ রানে অলআউট হয় মুশফিকুর রহিমের দল।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৭ রানে। তবে তামিমের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে দলীয় ৭৮ রানের মধ্যে পতন ঘটে চারটি উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহ মাহমুদউল্লাহর (৫২)। মুশফিকুর রহিম করেন ৩৮ রান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের সংগ্রহ যথাক্রমে ২২ ও ৩৩ রান। শেষের দিকে দ্রুত দলকে ৩০ রান এনে দেন সোহাগ গাজী। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সুনীল নারাইন। তাঁর ঝুলিতে যায় চারটি উইকেট। ড্যারেন স্যামি ও ভিরাসামি পেরমল নেন দুটি করে উইকেট।