নয়ন আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ ১৭ই এপ্রিল সরকারী ছুটি ঘোষনা এবং ১২ আনসার সদস্যের ম্যুরাল বসানোর দাবী জানিয়েছেন মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারীদের মধ্যে জীবিত ৪ আনসার সদস্য। তারা হলেন হামিদুল হক, আজিমুদ্দিনশেখ, শিরাজুল ইসলাম ও লিয়াকত আলী। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী পরিষদকে ১২ জন আনসার ও ১ জন পুলিশ সদস্য রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেছিলেন। গার্ড অব অনার প্রদানকারি আনসার সদস্যরা হলেন, মীর ইয়াদ আলী, ফকির মহাম্মদ, আরজুল্লাহ, সাহেব আলী, আশির মল্লিক, আজিমুদ্দিন, লিয়াকত আলী, হামিদুল হক, নজরুল ইসলাম, মফিজ উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম ও আরশেদ আলী। এদের মধ্যে হামিদুল হক, আজিমুদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম ও লিয়াকত আলী বেঁেচ আছেন। জীবিত আনসার সদস্যরা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল কাক ডাকা ভোর থেকে মুজিবনগরের বৈদ্যনাথ তলার নিভিৃত আম্রকাননে চলছিল সাজ সাজ রব। কেউ বুঝে উঠতে পারেনি সেদিন সে ক্ষণে কি হতে যাচ্ছে। হঠাৎ করে তৎকালীন এসডিও তৌফিক ই এলাহী ডাক দিয়েছিলেন মেহেরপুর ভবেরপাড়া গ্রামের ১২ জন আনসার সদস্যদের। তাদের বলেছিলেন তোমাদের আজ একটি বিশেষ ও মহৎ কাজ করতে হবে। তখনো তারা বুঝে উঠতে পারেনি তাদের কি এমন মহৎ কাজ করতে হতে পারে। হামিদুল হক জানান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদেরকে সরকার ২ লাখ টাকা মুল্যের একটি করে বাড়ি দিয়েছিলেন। এছাড়া ২০১০ সালে ১২ আনসার সদস্যর পরিবারকে নগদ ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। হামিদুল হক বর্তমান সরকারের কাছে মুজিবনগর দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষনার দাবী করেন। আজিমুদ্দীন বলেন, স্বাধনিতার ৪২ বছর পার হলেও আমাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। সরকার বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের একটি খেতাবের দাবী এখনো পূরণ হয়নি। ১২ আনসার সদস্যের ম্যুরাল তৈরী না করে যে ৮ জন আনসার সদস্য মারা গেছে কেবল তাদেরই ম্যুরার তৈরী করা হয়েছে। আমাদের দাবী ১২ জন আনসার সদস্যেরই ম্যুরাল তৈরী ও স্থাপন করা হোক।