বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার প্রতিবাদে ডাকা সকাল সন্ধা হরতালে মেহেরপুরে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ মিছিল করে জমায়াত শিবিরের হরতাল সমর্থকরা। রবিবার সকাল ৭ টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর এলাকায় আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল জাব্বার , মহাসীন আলী‘র নেতৃত্বে দুই কিলোমিটার এলাকা গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় মহিলা জামায়াতের নারী কর্মীরা একটি লাঠি মিছিল করে। দ্বিন দত্ত ব্রীজ থেকে রাজনগর ঘোড়ামারা ব্রীজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে রেখেছিল জামায়াত শিবিরের হরতাল সমর্থকরা । পরে হরতাল সমর্থকরা কাদের মোল্লার আত্মার মাগফেরাত কামনায় সড়কের উপরে দো’আ মোনাজাত করে।
অপরদিকে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাটার মোড়ে অবরোধ করে। এসময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এসময় ৭/৮টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় হরতালকারীরা।
মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড়ে সকাল সাতটার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফারুক হোসেনে এ কর্মসুচীর নেতৃত্বে দিকে সড়ক অবরোধ করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। বন্দর মোড় থেকে চকশ্যামনগর গ্রামের আগ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে কলাগাছ ও গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থকরা।
মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের গৌরিনগর মোড়ে অবরোধ করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী সমর্থকরা। মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী খান জাহান আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ করা হয়। সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সরকার বিরোধী ও হরতালের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়।
এদিকে হরতালের কারনে ভোর থেকেই আন্তজেলা ও দুরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে কয়েকটি স্থানে অবরোধ উঠে গেলে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে রাজনগরে অবরোধ থাকায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।