শনিবার মধ্যরাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিনজনসহ ১১ জন।

শনিবার মধ্যরাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিনজনসহ ১১ জন।

আমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ

আগুনের লেলিহান শিখা তখন দাউ দাউ করে একের পর এক ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে বউবাজার বস্তি  বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকারে জেগে ওঠে হাজারীবাগের বউবাজার বস্তি  চারপাশে আর্তনাদে কয়েক হাজার মানুষ। তাৎক্ষণিক পানি না পাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ছিল অনেক বেশি। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিনজনসহ ১১ জন।আহত হয়েছেন ৫০ জন।

প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও শোক জানিয়েছেন।এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বস্তির একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে।তখনও বস্তির অনেকেই জানেন না তাদের জন্য স্বজন হারানোর ভায়াবহ দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে নিখোঁজ স্বজনদের একের পর এক লাশ উদ্ধার হতে থাকলে এলাকা জুড়ে শুরু হয় শোকের মাতম।বস্তিবাসীর দাবি এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী ৫ হাজার ঘর পুড়ে যাওয়ার কথা বললেও প্রশাসনের দাবি ৩ হাজার। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, কি কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি আবু নাঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মশার কয়েল বা সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান জানান, নিহতদের বেশির ভাগ অগ্নিদগ্ধের কারণে নয়, আগুনের তাপ ও গ্যাসের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।ত্রাণ অধিদপ্তরের ডিজি আবদুল ওয়াজেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিতে সরকারের প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।

বাংলাদেশ