উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যত দিন চান, তত দিন লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকতে পারবেন। ইকুয়েডরের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে অ্যাসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লন্ডন যাওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন সুইডেনের কৌঁসুলিরা। অ্যাসাঞ্জের এক আইনজীবী এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ইকুয়েডরের একজন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার জানান, অ্যাসাঞ্জ যত দিন চান, তত দিনই তাঁকে দূতাবাসে থাকতে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তা দুই শতাব্দীও হলে সমস্যা নেই। একটি সূত্র জানায়, ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। তাই পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের উচিত ইকুয়েডর দূতাবাস গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রত্যাহার করে নেওয়া।
ইকুয়েডরের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা মঞ্জুরের ব্যাপারে ইকুয়েডর কারও সঙ্গে কোনো ধরনের গোপন চুক্তি করেনি। দুই মাস আগে হঠাৎ এক দুপুরে অ্যাসাঞ্জ দূতাবাস ভবনে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
ইকুয়েডরের কর্মকর্তারা জানান, দূতাবাসের চারপাশে এখনো অনেক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এটা বিস্ময়কর। তাঁদের মতে, অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সুইডেনের উচিত অ্যাসাঞ্জকে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হবে না। আর যুক্তরাজ্যেরও উচিত, অ্যাসাঞ্জকে নিরাপদে ইকুয়েডরে যেতে দেওয়া। লন্ডনে গিয়ে অ্যাসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সুইডিশ কৌঁসুলির কার্যালয়ের মুখপাত্র হেলেনা এক্সট্রান্ড বলেন, ‘আমরা সুইডেনেই অ্যাসাঞ্জের জন্য অপেক্ষা করছি।
যুক্তরাজ্যই অ্যাসাঞ্জ প্রসঙ্গের ইতি টানতে পারে: ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেছেন, যুক্তরাজ্যই অ্যাসাঞ্জ প্রসঙ্গের ইতি টানতে পারে। যুক্তরাজ্য অ্যাসাঞ্জকে নিরাপদে ইকুয়েডরে যেতে দিলে আগামীকালই বর্তমান পরিস্থিতির ইতি হতে পারে। আর লন্ডন এতে রাজি না হলে কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা চলতে থাকবে। গার্ডিয়ান ও এএফপি।