মেহেরপুর সীমান্তে অর্ধশত বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ। আটক ৯ মেহেরপুর অফিস ঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ও বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে ৪১ বাংলা ভাষা-ভাষী নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় কাটাতারের বেড়ার গেট খুলে তাদের বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। পুশইন হওয়া নারী-পুরুষরা মেহেরপুর শহর থেকে বিভিন্ন যানবাহন যোগে ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশালের নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে চলে যায়। তবে আনন্দবাস সীমান্ত থেকে ৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি। পুশইন হয়ে আসা কয়েকজন জানান, বিভিন্ন সময়ে তারা কাজের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। বরিশালের হিরোন,নাহারুল,পুতুল পাটান এরা জানান, ৮ মাস আগে তিনি কাজ করার উদ্দেশে ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। কিছুদিন কাজ করার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পরে সাজা হলে তাদের দমদম জেল খানায় পাঠায়। তারা আরও জানান, প্রায় সাত মাস জেল খাটার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার সাথে আরও বেশ ক’জনকে জেল থেকে বের করে গাড়িতে তোলে। তারাও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত। পাঁচটি গাড়িতে করে ভাগ করে বিভিন্ন সীমান্তে নিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। তাদের মোট ৪১ জনকে বুড়িপোতা ও বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে। খুলনার শমসের আলী ও আবুল হোসেন জানান, তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করতে দালালের মাধ্যমে ভারতে যান। পাঁচ মাস জেল খাটার পর তাকে বুড়িপোতা সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। তারা বলেন, রাতে মাঠ-ঘাট পার হয়ে বুড়িপোতা ও বাজিতপুর গ্রামবাসীর সহায়তায় মেহেরপুর শহরে আসেন তারা। খুলনা তেরখাদা থানার হরিদাস বাটি গ্রামের আকিদুল মিরের স্ত্রী রোজিনা জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে স্বামী-সন্তানসহ তিনি ভারতে যান। কয়েক মাস পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই মাস জেল খাটে তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল খানা থেকে গাড়িতে তোলে। সে ও তার তিন সন্তান শেফায়েত (১০), ময়না (৫) ও সোহেলকে (৩) একটি গাড়িতে তুলে বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে পার করে দিলেও তার স্বামীকে নিয়ে গেছে অন্য সীমান্তে। তিন সন্তান নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান। এদিকে, আধাবেলা হরতাল থাকায় আলগামন, নছিমন, করিমনে করে নিজ নিজ ঠিকানায় উদ্দেশে মেহেরপুর ত্যাগ করেছেন এসব পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মিরপুর ৩২ বিজিবির সেক্টরের মেজর মেহেদী জানান, এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিএসএফ সদস্যরা কিছু লোককে রাতের আঁধারে কাটাতারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পুশইন করেছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ও বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে ৪১ বাংলা ভাষা-ভাষী নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় কাটাতারের বেড়ার গেট খুলে তাদের বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। পুশইন হওয়া নারী-পুরুষরা মেহেরপুর শহর থেকে বিভিন্ন যানবাহন যোগে ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশালের নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে চলে যায়। তবে আনন্দবাস সীমান্ত থেকে ৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি। পুশইন হয়ে আসা কয়েকজন জানান, বিভিন্ন সময়ে তারা কাজের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। বরিশালের হিরোন,নাহারুল,পুতুল পাটান এরা জানান, ৮ মাস আগে তিনি কাজ করার উদ্দেশে ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। কিছুদিন কাজ করার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পরে সাজা হলে তাদের দমদম জেল খানায় পাঠায়। তারা আরও জানান, প্রায় সাত মাস জেল খাটার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার সাথে আরও বেশ ক’জনকে জেল থেকে বের করে গাড়িতে তোলে। তারাও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত। পাঁচটি গাড়িতে করে ভাগ করে বিভিন্ন সীমান্তে নিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে। তাদের মোট ৪১ জনকে বুড়িপোতা ও বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে। খুলনার শমসের আলী ও আবুল হোসেন জানান, তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করতে দালালের মাধ্যমে ভারতে যান। পাঁচ মাস জেল খাটার পর তাকে বুড়িপোতা সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। তারা বলেন, রাতে মাঠ-ঘাট পার হয়ে বুড়িপোতা ও বাজিতপুর গ্রামবাসীর সহায়তায় মেহেরপুর শহরে আসেন তারা। খুলনা তেরখাদা থানার হরিদাস বাটি গ্রামের আকিদুল মিরের স্ত্রী রোজিনা জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে স্বামী-সন্তানসহ তিনি ভারতে যান। কয়েক মাস পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই মাস জেল খাটে তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল খানা থেকে গাড়িতে তোলে। সে ও তার তিন সন্তান শেফায়েত (১০), ময়না (৫) ও সোহেলকে (৩) একটি গাড়িতে তুলে বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে পার করে দিলেও তার স্বামীকে নিয়ে গেছে অন্য সীমান্তে। তিন সন্তান নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান। এদিকে, আধাবেলা হরতাল থাকায় আলগামন, নছিমন, করিমনে করে নিজ নিজ ঠিকানায় উদ্দেশে মেহেরপুর ত্যাগ করেছেন এসব পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মিরপুর ৩২ বিজিবির সেক্টরের মেজর মেহেদী জানান, এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিএসএফ সদস্যরা কিছু লোককে রাতের আঁধারে কাটাতারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পুশইন করেছে।

মেহেরপুর সংবাদ