আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে ফাঁসির রায় প্রদানের অজুহাতে মেহেরপুর শহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শহশ্রাধিক দোকান ও যানবাহন ভাংচুর করেছে জামাত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। শিবির কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে মেহেরপুর নিউজের শহর কার্যালয়(সাহারা মিডিয়া)। এছাড়া ও সাংবাদিক সুমনসহ পথচারি ও দোকানদাররা আহত হয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও
শিবির কর্মীরা হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে মেহেরপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে গণজাগরন মঞ্চ।জামায়াত শিবিরের হামলার প্রতিবাদ এবং পুলিশ সুপারের অপসারনের দাবীতে শহরে
বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে মেহেরপুর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন। মিছিলটি শহরের হোটেল বাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের বড় বাজার মোড় প্রদক্ষিণ শেষে হোটেল বাজার মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।শিবির কর্মীরা বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ শেষে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে বের হয়ে পর্যায়ক্রমে কোর্ট মোড়ে এবং কাথুলী মোড়ে জড়ো হয়। পরবর্তীতে লাঠি-বৈঠা ইট,দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে কোর্ট মোড় থেকে শুরু করে খোলা থাকা প্রতিটি দোকানে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর করে। তারা কাথুলী মোড়ে গিয়ে ভাংচুরের ইতি টানে। সংবাদ পাবার ১০ মিনিট পর পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।এ ঘটনার জের হিসেবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা চালায়। তারা,ইসলামী ইন্সুরেন্স কোম্পানী,ইসলামী ব্যাংক,ফেমাস শোরুম সহ জামায়াত শিবির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। সর্বশেষে জেলা জামায়াতের আমির হাজী ছমিরউর্দ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দু’টি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত সাধারণ মানুষ। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে এসে জনতার রোশানলে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।আওয়ামীলীগ নেতারা অভিযোগ করেন,শিবির হামলা শুরু করলে পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেওয়া দুরের কথা শিবিরের এ ঘটনায় তারা প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করেছে। আমরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপারের অপসারন দাবী করছি। যদি না হয় তাহলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামবো।এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অতর্কিত এ হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা দোকান ফেলে রেখে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মেহেরপুর ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো।অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন,শিবির যখন শহরে এ তান্ডব লীলা শুরু করে তখনও শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ছিলো। কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেওয়া দুরের কথা বরঞ্চ ভয়ে পালিয়ে গেছে।মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। শিবির যাতে আর কোন ধরনের নাশকতা ঘটাতে না পারে এজন্য শহরে অতিরিক্ত র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার অধিকাংশ আইসি ক্যাম্প থেকে পুলিশ শহরে নিয়ে আসা হয়েছে।এদিকে রাতে হোটেল বাজার মোড়ে শহর আওয়ামিলীগ সভাপতি গোলাম রসুল এক বিক্ষেভ সমাবেশে সকল নেতা কর্মীকে ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে জামাত শিবিরের নৈরাজ্য তান্ডব মোকাবেলা করে মেহেরপুর মানুষ জনকে রক্ষা করার আহবান জানান