আমাদের মেহেরপুর ডট কমঃ ঃ মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী ক্রমেই দুনীতিবাজদের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন কারণে বিগত নির্বাচিত ও অনির্বাচিত কমিটিগুলো স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে জেলার প্রধান সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্রন্দিুটিকে শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শূন্য হয়ে দুর্নীতিবাজদের দখলদারিত্বে পরিণত হয়েছে। অক্টোবর ২০০৫ সাল থেকে জুন ২০১২ সাল পর্যন্ত কোন অডিট না হওয়ার কারণে নির্বাচিত পরিষদের সদস্যরা এবং এডহক কমিটির সমস্যরাও বিভিন্ন ভাবে শিল্পকলা অডিটরিয়াম ভাড়ার বিপুল পরিমাণ আদায়কৃত অর্থ রশিদ বই সহ গায়েব করে আত্মসাৎ করেছে বলে অডিটে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে অডিট কমিটির অন্যতম সদস্য ও শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি নূরুল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে শুরু করে প্রায় দেড় মাস ধরে চলা অভ্যন্তরীণ অডিটে একাডেমীর বিভিন্ন ব্যয়ে ছোট খাটো অসঙ্গতির সাথে সাথে ও অডিটরিয়ামের হল ভাড়ার জন্য ব্যবহৃত ২টি রশিদ বই ইচ্ছাকৃত গায়েবের প্রমান পাওয়া যায়। যার দ্বারা প্রায় ২ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় দুর্নীতিবাজরা প্রশ্রয় পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও বড় দুর্নীতির আশংকা দেখা দেবে। এ ব্যাপারে শিল্পকলা একাডেমীর বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের কোষাধ্যক্ষ আশরাফ মাহমুদ দাবী বলেন যে, ‘আমি নির্বাচিত হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে কোষাধ্যক্ষের চার্জ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এতেই বোঝা যায়, ঘাপলা আছে’। এ ব্যাপারে খন্ডকালীন অফিস সহকারী মিজানুর রহমান মিজান জানান, আমি প্রায় এক যুগ যাবৎ শিল্পকলা একাডেমীতে খন্ডকালীন কাজ করে আসছি। সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান মালেকের কমিটি থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছি। তবে ২০০৫ সালের অক্টোবর মাসে সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান গোরা দায়িত্ব গ্রহনের পর আর কোন অডিট না হওয়ায় এবং ২০১০ সালে তড়িঘড়ি করে এডহক কমিটিকে কোন হিসাব নিকাশ ছাড়াই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে এন.ডি.সি দায়িত্বপালন কালে কোন কমিটি বা এডহক কমিটিও না থাকায় কিছুটা অব্যবস্থাপনা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, বর্তমান কোষাধ্যক্ষকে চার্জ বুঝে নেবার জন্য সভাপতি মহোদয় চিঠি দিয়েছেন।