১০ম সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনাকে প্রত্যাখান, জেল-জুলুম নির্যাতনের অভিযোগ এবং শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রতিবাদে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ২য় দফা ১৩১ ঘন্টা অবরোধের ৪র্থ দিনে মেহেরপুরের অবরোধ বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধের মধ্যে দিয়ে চলছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭ টার কাথুলীর কায়েম কাটর মোড়ে জেলা বিএনপি‘র যুগ্ম আহবায়ক আনছারুল হক , জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের, নেতৃত্বে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৮ দলীয় নেতাকর্মী। এসময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের আহবায়কযুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ মোহম্মদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাকিম, পৌর জামায়াতের আমির মাহববুল আলম, জেলা জমায়াতের সহকারী সেক্রেটারী তারিক মোহম্মদ সাইফুুল, ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আমির গোলাম রসুল। এর আগে পৌর কলেজ এলাকায় জেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক তোফায়েল আহম্মেদের নেতৃত্ব গাচের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ পৌচালে তার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
অপরদিকে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কে দিনদত্ত বিজ্র থেকে শুরু করে রারাদি পর্যন্ত গাছের গুড়ি, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ১৮ দলীয় নেতা কর্মীরা। দিনদত্ত বিজ্রে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মতিন, নায়েবে আমীর সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আলীম, জামায়াত নেতা আব্দুল জাব্বারের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে ১৮ দলীয় নেতা কর্মীরা । এসময় একই স্থানে মহিলা জামায়াতের নারী কর্মীরা একটি লাঠি মিঠিল মিছিল বের করে। পরে তারা সড়কের উপর বসে পড়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।। অন্যদিকে মুজিবনগর সড়কে বন্দরের মোড়ে সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের,জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ফারুক হোসেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির রহুল আমিনের নেতৃত্বে ১৮ দলের কর্মীরা লাঠি শোঠা নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে সেখানে সমাবেশ ১৮ দলীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অবরোধের শুরুর দিন থেকেই আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।