মেহেরপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সব বয়সী মানুষ ছুটছেন ঈদ মার্কেটে। আর তাইতো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বাহারী পোষাকের পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। ক্রেতারা জানালেন গত বছরের চেয়ে এবারে পোষাকের দাম কিছুটা বেশি। তারপরও কেনাবেচায় ধূম পড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। রমজানের শুরুর থেকেই মেহেরপুরের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পোষাকের দোকানের ভিড় লক্ষ্যনীয়। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ কিনছেন তাদের পছন্দের পোষাক। ভারতীয় টিভির বিভিন্ন সিরিয়ালের নায়িকার নামের পোষাকের কদর বেশি ক্রেতাদের কাছে। তবে ওই একই নামে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশী পোশাকও। পাখি, বোঝেনা সে বোঝেনা, চাঁদের পাহাড়, ডায়মন্ড কার্ট, স্ট্রেট কার্ট লং সাইজ, ঝিলিক, অক্টোপাশ, পামেলা, চেন্নায় এক্সপ্রেস নামীর থ্রিপিস, ফ্রগের চাহিদা সবচাইতে বেশি। ভারতীয় পোশাকের চাইতে বাংলাদেশী কাপড়ের মান ও ডিজাইন ভাল এবং দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশী পোশাক বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। তবে পোশাকের উচ্চ মূল্যে নাভিঃশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত ক্রেতাদের। তাদের অভিযোগ একই কাপড় শুধুমাত্র ডিজাইন পরিবর্তন করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে দুই থেকে তিন গুন। বিক্রেতারা জানলেন শিশুদের পোশাকের চাহিদা সব চাইতে বেশী। তবে ১০ থেকে ১২ বছরের মেয়েদের পোশাক বিক্রি বেশি। ভারতীয় সিরিয়াল ও সিনেমার নামে থ্রী-পীচ ও পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে বেশী। এবার রমজানের শুরুথেকেবেচা-কেনাও ভাল বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানালেন অবৈধ পথে নয় বৈধ পথেই আনা হচ্ছে ভারতীয় কাপড়। তবে দেশীয় পোশাকের কাছে টিকতে পারছে না ভারতীয় পোষাক। মনিরুজ্জামান, সভাপতি, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, মেহেরপুর।