মেহেরপুরে ঔষধ আইন কি উপেক্ষিত! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসীতে বিক্রয় হয় হাই অ্যান্টিবায়োটিক

মেহেরপুরে ঔষধ আইন কি উপেক্ষিত! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসীতে বিক্রয় হয় হাই অ্যান্টিবায়োটিক

indexআতাউর রহমান,মেহেরপুরঃ
মেহেরপুরে ঔষধ আইন কি চরমভাবে উপেক্ষিত, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এক শ্রেনীর ঔষধ ব্যবসায়ীরা ক্রেতা বা রোগীর কাছে বিক্রয় করছেন হাই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। যেকারনে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার হচ্ছে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় চিকিৎসকগনে। স্থানীয় একাধিক চিকিৎসক দৈনিক মাটির পৃথিবী পত্রিকাকে বলেন রোগীকে চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক এর ফুল কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। কেননা অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ফাংগাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া থেকে পাওয়া যা ল্যাবে সিনথেসিজ করা এমন কিছু ঔষধ যেগুলো মানব শরীরের বিভিন্ন জীবানু (সাধারনত: ব্যাকটেরিয়া) ধ্বংস করে বা তাদের বিকাশ প্রতিহত করে দেয়। অন্যদিকে মেহেরপুরে সুচিকিৎসার চিকিৎসক সংকটের জন্য যখন সংকটময় হয়ে উঠেছে, তখন প্রাতিষ্টানিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডাক্তারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে জেলাটিতে। অতি সাধারন ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে ঐ সমস্ত ডাক্তার সকলে লাগামহীন ভাবে অপ চিকিৎসা দিয়ে অর্থ বানিজ্য করে গেলেও স্থানীয় আইন প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস কোনই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই রোগীকে কোন পরীক্ষা ছাড়াই হাই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে দিচ্ছে আনাড়ি সব ডাক্তাররা। যেকারনে হাই অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার সাধারন রোগীদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এটা সাধারনত: হয়ে থাকে হাই অ্যান্টিবায়োটিক ডোজে অনিয়ম হলে কিংবা কোর্স সম্পন্ন না হলে। অপরদিকে অন্য এক স্বাস্থ্যতথ্যে জানাগেছে প্রেসক্রাইব করা সব ঔষধেই যকৃতে ক্ষতি সাধন করে। তবে তাদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক যকৃতের জন্য সব চেয়ে বেশী ক্ষতিকর। তথ্যে আরো বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার শরীরে এন্ডোটকসিন নিঃসরনের পরিমান বাড়িয়ে দেয় এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। (চলবে)

 

মেহেরপুর সংবাদ