নয়ন আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা পূণ:মূল্যায়ন করা সহ অবমূল্যায়নকারী শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি এবং প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে খাতায় নম্বর কম দেয়ার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে অবশেষে জেলা প্রশাসকের শরনাপন্ন হয়েছেন বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক দেলওয়ার হোসেনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রাথমিক বৃত্তি বঞ্চিত ২২ ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকগণ। আবেদনপত্রে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করার জন্য গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় পাঠানো হয়েছিলো। মূল্যায়নকারীরা জাতীয় শিক্ষা একাডেমী (ন্যাপ) এর নীতিমালা উপেক্ষা করে মনগড়াভাবে খাতা মূল্যায়ন করেছে। খাতা মূল্যায়নের সময়সীমা ৬দিন থাকলেও তারা ৪ দিনের মধ্যে মূল্যায়ন কাজ শেষ করে। তারা আরো অভিযোগ করেন, মূল্যায়নকারীরা কোনো এক পক্ষের নির্দেশে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সঠিক দায়িত্ব পালন না করে তার অবমূল্যায়ন করেছে। স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্র করে তাদের ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার খাতায় কম নম্বর দেয়ায় তারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন বলে অভিভাবকরা তাদের লিখিত আবেদন পত্রে উলে¬খ করেছেন।আবেদন পত্রে তারা আরো উলে¬খ করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পূর্বে অনুরুপ সমাপনী মডেল টেষ্ট নামে আরও একটি পরীক্ষা মেহেরপুর সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।যার খাতা ও নম্বর সমূহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সংরক্ষিত আছে। তারা দাবী করেন, এ সকল সংরক্ষিত খাতা ও নম্বর পত্র গুলো যাচাই করলে প্রকৃত মেধার মান যাচাই করা সম্ভব হবে ।
বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা জানান, তারা সমাপনী পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে ১হাজার ২’শ টাকা করে ব্যাংক ড্রাফট করে নিরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পূন:নিরীক্ষা পত্রে প্রাপ্ত নম্বরের থেকে কম নম্বর দেয়া হলেও তা বাড়ানো হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন এবং তার একটি উপযুক্ত প্রমান পত্রও তারা আবেদনের সাথে সংযুক্ত করেছেন।
আবেদনে তারা জানান, এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তাদের ছেলে মেয়েদের খাতা পূন:মূল্যায়ন ও দায়ী ব্যাক্তিদের বিচার চেয়ে আবেদন করলেও তার কোনো প্রতিকার পাননি ।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক দেলওয়ার হোসেন জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তিনি।