মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর মোড়ে বুধবার সকাল থেকেই অবরোধ করে রেখেছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা তৃণমুল দলের সভাতি ওমর ফারুখ লিটন, বিএনপি নেতা আলীমের নেতৃত্বে সকাল ৬ টায় থেকে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে। ফলে বুধবার সকাল থেকেই মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়ের উপরে তিন কিলোমিলার এলাকায় গাছের ডালপালা ও ইট ফেলে বিক্ষোভ মিছিল করছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর মোড় ও গৌরিনগর, মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েম কাটার মোড় এবং মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামন্দি বাজার এলাকায় অবরোধ করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। অবরোধের শুরু দিন থেকে আন্তজেলা ও দুরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল আটটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বন্দর পিটিআই মোড়ে অবরোধ করা হয়। এসময় ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় লাঠি মিছিল করেন। সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফারুক হোসেন ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রুহুল আমিন এবং পৌর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস সহ জোট নেতৃবৃন্দ। অপরেিদক ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের গৌরিনগর এলাকায় অবরোধ করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করে আব্দুল কাদের মোল্লার মুক্তি দাবি করা হয়। মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মশিউর রহমানের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারী খান জাহান আলী, মোনাখালী ইউপি আমির ফজলুর রহমান গাজী, জেলা শিবিরের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও মুজিবনগর উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোকলেছুর রহমান। এদিকে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর নামক স্থানের অবরোধ তুলে দেবার আধাঘন্টা পর আবারও অবরোধ শুরু করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। ফলে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে আবারও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের যৌথ অভিযানে অবরোধকারিদের সরিয়ে দেয়া হয়। পরে সকাল ১১ টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যরা রাস্তা থেকে গাছের গুড়ি ও ডাল-পালা সরিয়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয়। এ সময় অবরোধকারীরা রাস্তা থেকে সরে গিয়ে কিছুদরে অবস্থান নেয়। গত কয়েকদিনের অবরোধের মত বুধবার সকালে থেকেই রাজনগর এলাকার সড়কে নেমে আসে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ। খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলীয় নেতা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে দফায় দফায় চলে লাঠি মিছিল। আইন শৃঙ্খরা বহিনীর সদস্যদের অভিযানে সকাল ১১ টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিলেও সাড়ে ১১ টার দিকে আবারও শুরু হয়েছে অবরোধ। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্রার মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিষয়ে আদেশের পর তারা আবারও অবরোধ শুরু করে।
1 thought on “মেহেরপুরের ৫টি সড়কে অবরোধ ॥ মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে দু’দিন ধরে যোগাযোগ বিছিন্ন”