মেহেরপুরের শিল্পী আশরাফ অবাঞ্ছিত—সকল শিল্পীদের চোর বলায় ফুসে উঠেছে সাংস্কৃতিক মহল

মেহেরপুরের শিল্পী আশরাফ অবাঞ্ছিত—সকল শিল্পীদের চোর বলায় ফুসে উঠেছে সাংস্কৃতিক মহল

 K-57আমাদের মেহেরপুর ডট কম ঃ মেহেরপুরের সকল শিল্পী ও সংগঠনকে চোর বলায় বিতর্কিত শিল্পী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কোষাধ্যক্ষ আশরাফ মাহমুদকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে জেলার সকল সংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পী সমাজ। এ ব্যাপারে একজন আইনজীবী জানান, গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ মাহমুুদের সাথে এলাকার মানুষের সম্পর্ক খারাপ থাকায় সে মেহেরপুরে পলাতক জীবন যাপন করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হওয়ার সুবাদে জেলা প্রশাসনের কাছে বিটিভি ও বেতারের উচ্চ পর্যায়ের বা জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীর মর্যাদা দাবী করে প্রভাব খাটিয়ে ব্লাকমেইলিং এর মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। সে সরকারী সম্পত্তি, রাস্তার গাছ দখল করা এবং বহু বিবাহ সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আছে। এছাড়াও সে বাংলাদেশ বেতারে চাকুরী দেব বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা নেওয়ার অপরাধে খুলনা আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলায় অভিযুক্ত। এছাড়াও সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে এবং একাধিক বিবাহ করার অপরাধেও বেশ কিছুদিন জেল হাজত খেটেছেন। এ ব্যাপারে রবীন্দ্র গবেষক ও ড. রহমান জানান, বেশ কয়েক বৎসর আগে জনৈক রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী আশরাফ মাহমুদ মেহেরপুরে উদিত হয়। সে নিজেকে রবীন্দ্র গবেষক ভাবতে ও পরিচয় দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি ৪টি প্রচলিত রবীন্দ্র সঙ্গীত ছাড়া আর অন্য কোন রবীন্দ্র সঙ্গীত গেতে জানেন না, এমনকি তার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্যেও ত্রুটি আছে। যার কারণে গত ২ বছর ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর আম্রকাননে প্রথম সরকার দিবস অনুষ্ঠানেও শিল্পকলার শিল্পী সহ আশরাফ মাহমুদকেও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া থেকে বিরত রাখেন জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহ-সভাপতি ও সদস্য জানান, জনৈক আশরাফ মাহমুদ একাডেমীর কোষাধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে একাডেমীতে প্রশিক্ষনার্থী কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সরকারী দিবসে একাডেমীর প্রশিক্ষনার্থী বাদ দিয়ে বাইরে থেকে কয়েকজন যন্ত্রশিল্পী এনে নিজের গান পরিবেশন করার জন্য সে সরকারী অর্থ খরচ করে দিবসের তাৎপর্য বর্হিভূত গান পরিবেশন করে সরকারী টাকার তছরুপাত করেছে। এতে শিল্পকলার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় চলে গেছে। নিজে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হওয়া সত্বেও এলাকার ভালো ভালো রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও ভক্তরা তার উগ্র আচরণের কারণে শিল্পকলা ত্যাগ করেছেন, যার প্রভাবে গতকাল জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে শিল্পকলা একাডেমীকে বাঁচিয়ে রাখা সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠনের নেতাদের চোর আখ্যায়িত করেছে, তার ধৃষ্টতা মেনে নেওয়া যায়না। অন্য শিল্পী ও সংগঠনরা তাকে অবাঞ্ছিত করতেই পারে। এ দায় দায়িত্ব শিল্পকলা একাডেমী নেবে না।
মেহেরপুর সংবাদ