ঃ মেহেরপুর জেলা ট্রাক মালিক গ্র“পের সদস্য ও জামায়াত নেতা ফকির মোহাম্মদ কে সালিস করার নামে ডেকে এনে অমানবিক নির্যাতন করেছে গাংনী পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা আহমেদ আলী ও তার ক্যাডার বাহিনী। এঘটনায় মেহেরপুর জেলায় অনির্দৃষ্ট কালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে মালিক গ্র“প। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা ট্রাক মালিক গ্র“পের সদস্য, ও জামায়াত নেতা ফকির মোহাম্মদ জানান,গত সোমবার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে তার ট্রাক সাইড দেয়া কে কেন্দ্র করে একই গ্রামের টুটুলের সাথে ড্রাইভারের ঝগড়া হয়। পরে টুটুলের লোকজন গাড়ি ভাংচুর ও ড্রাইভারকে মারধর করে।
এঘটনার সামাধানের জন্য মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টারদিকে গাংনী শ্রমিক বৈঠক করার জন্য তাকে ডেকে আনা হয়। পরে আওয়ামীলীগ নেতা গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী ও তার ক্যডার বাহিনী ধরে নিয়ে প্রথমে পৌরসভা ভবনে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। পরে হাসপাতাল বাজারের একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে।
গাংনী থানার ওসি মাছুদুল আলম জানান, গাংনী হাসপাতাল বাজারে ফকির মোহাম্মদ নামের একজন কে মারধর করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্ত্বিতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকৎসক জানান, আহত ফকির মোহাম্মদের হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।
গাংনী পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা আহমেদ আলী জানান, জামাত নেতা ফকির মোহাম্মদ ইতোপূর্বে পুলিশের উপর হামলা করেছিল। সে বোমাবাজির মামলায় হাজত খেটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে আমার কাছে দিলে তাকে গাংনী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে কোন মারধর করা হয়নী।
মেহেরপুর জেলা বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতা গোলাম রসূল জানান, ফকির মোহাম্মদ জেলা ট্রাক মালিক গ্র“পের সদস্য একারনে তার নির্যাতরকারী পৌর মেয়র আহমেদ আলীর বিচারের দাবিতে বাস ট্রাক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এদিকে বুধবার সকাল ৯ টার সময় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। ফকির মোহাম্মদ গাঁড়াডোব গ্রামের মোহাম্মদ হেসেনের ছেলে।