মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা স্থানীয় জনতা ও পুলিশের বাঁধার মুখে ভেস্তে গিয়েছে। এ নিয়ে আমঝুপি গ্রামে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে । ফলে গ্রামবাসী ও লাশের
ওয়ারিসদের সাথে যে কোন মূর্হতে সংঘের্ষের আশংঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, আমঝুপি উত্তর পাড়ার কথিত ফকির মরহুম ইসাহাক আলীর লাশ তার নিজ জমিতে দাফন করার জন্য তার দুই ছেলে সহ ভক্তবৃন্দরা শনিবার সাকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমঝুপি উত্তর পড়ার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করতে যাই। এ খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা তাদের লাশ উত্তোলনে বাঁধা দিলে জনতা ও লাশের ওয়ারিসদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। সংবাদ পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার এস আই দুলু ঘটনা স্থলে পৌছে লাশ উত্তোলনে বাঁধা দিলে তারা কবর থেকে লাশ তুলতে ব্যার্থ হয়। এস আই দুলু লাশ উত্তোলনকারীদের বলেন কবর থেকে লাশ তুলতে হলে আদালতের আদেশ নিতে হয় । অন্যথায় আপনারা কবর থেকে লাশ তুলতে পারবেন না। এদিকে মরহুম ইছাহাক ফকিরের ছোট ছেলে ওয়াছেদ জানান, আমার পিতার লাশ তোলার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করলে তিনি আমাদের জর্জ কোটে যেতে বলেন সেখানে বিচারক আমাদের একটি মৌখিক আদেশ দিলে তার প্রেক্ষিতে আমরা কবর থেকে লাশ তুলতে এসেছিলাম । অপরদিকে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা নিয়ে আমঝুপির আলেম ও সুশীল সমাজের মধ্যে মিশ্র প্র তিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা জানান মরহুম ইসাহাক ফকিরের দুই ছেলে ও কিছু ভক্ত মিলে লাশ তুলে নিজ জমিতে দাফন করে সেখানে একটা ফকিরের খানকা শরিফ গড়ে কবর পূজা করার পায়তারা করছে। কবর স্থানের জমির মালিক জয় জানান, মরহুম ইসাহাক ফকির গত ২রা রমজান মারা যান, তার দুই ছেলে লালু ও ওয়াছেদ কবরস্থান, এবং নিজ জমিতে দাফন করতে রাজি না হওয়ায় মানববিক দিক থেকে আমি উত্তর পাড়া কবর স্থান সংলগ্ন আমার জমির এক পাশে কোন রকম ফকরি আকড়া বা কবর পূজা না কররা শর্তে তাদের পিতার লাশ দাফন করতে দিই । কিন্তু এখন তারা তাদের পিতার লাশ তুলে নিয়ে গিয়ে নিজ জমিতে দাফন করে কবর পূজা ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। যা ইসলাম ধর্মের কোন বিধান নেই তাই আমি ও গ্রামবাসীরা লাশ উত্তোলনে বাঁধা দিই। এ বিষয়ে আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা ইসলাম ধর্মের দিক থেকে দৃষ্টিকটুর। তাছাড়া কবর থেকে লাশ উত্তোলন করতে প্রশাসনের অনুমতি লাগে ।